আধুনিক যুগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
সংগা : ইংরেজিতে ICT অর্থ Information and Comunication Technology বাংলায় যাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিদ্যা বলা হয়। অর্থাত যে প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য, উপাত্ত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়।
সংক্ষেপে বলা যায় তথ্য প্রযুক্তি এর ডাটা সংগ্রহ সংরক্ষণ বিশ্লেষণ ও তথ্য আদান প্রদান কেই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। উদাহরণ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থার মধ্যে আছে রেডিও, টেলিভিশন, অডিও, ভিডিও, ডিভিডি, টেলিফোন, মোবাইল, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ভিডিও কনফারেন্সিং, ইমেইল, ব্লগ্স, স্যাটেলাইট, ফ্যাক্স, ওয়াইফাই,মডেম, টেলিযোগাযোগ এবং আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি।
১৯৮০ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয়। ১৯৯৭ সালে বিশ্বব্যাপী এটা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের নতুন জাতীয় পাঠ্যসূচিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির খরচ ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইউ এস ডলার ধরা হয় যা প্রতিবছর ৫% হারে বৃদ্ধি পাবে। এই তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করতে হলে পরিকল্পনাকারী, নীতি নির্ধারক, শিক্ষক, ছাত্র সকলকেই অভিজ্ঞ হতে হবে। তাহলে এই সেক্টরের মাধ্যমে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।
আগের যুগে মানুষ যোগাযোগ করত পায়ে হেঁটে বা সশরীরে যেয়ে দেখা করতো অথবা চিঠির মাধ্যমে আদান প্রদান করত। কিন্তু বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির আবিষ্কার এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ ও উন্নততর হয়েছে এবং সময়ের অনেক সাশ্রয় হয়েছে। যদিও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা করা জটিল বলে মনে হয়।
আমাদের শেষ কথা : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া বর্তমান বিশ্ব প্রায় অচল। তাই বাংলাদেশ সরকার এই সেক্টরের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাজেট প্রণয়ন করেছে। বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি করে গড়ে তুলছে। এবং বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url