গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা

 গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা







কলার খোসার উপকারিতা

গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা বিষয়ে আমাদের জানার আগ্রহ রয়েছে। গর্ভাবস্থার পর মা ও শিশুর জন্য সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শুধু মায়ের স্বাস্থ্যই নয় শিশুর বিকাশ এবং সুস্থতার জন্যেও অপরিহার্য।

গর্ভবতী-মায়ের-খাদ্যের-দিকে-খেয়াল-রাখতে-হবে

সঠিক মানসিক যত্ন নেওয়া হলে মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব। আজকের আর্টিকেলে আমরা গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা

গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা সম্পর্কে জানুন

গর্ভাবস্থার পরে মা এবং শিশুর পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই সময় মায়েদের শারীরিক সুস্থতা এবং শিশুর বিকাশের জন্য সঠিক যত্ন প্রয়োজন। গর্ভাবস্থার পরে পর্যাপ্ত বিশ্রামনেওয়া জরুরি। কারণ এটি মায়ের শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে। গর্ভাবস্থার পরে মা এবং শিশুর পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার নিম্নে কিছু মৌলিক কিছু পরিচর্যা তুলে ধরা হলো:

মা এর পরিচর্যা: গর্ভাবস্থার পরে মা সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম নিতে হবে যা শরীর পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। গর্ভাবস্থার পরে নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ডাক্তার এর নির্দেশিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এছাড়াও স্তন্যপান একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি। এটি শিশুর পুষ্টির জন্য অপরিহার্য এবং মায়ের জন্য বিভিন্ন সুবিধা যেমন মাতৃ দুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে।

শিশুর পরিচর্যা: নবজাতকের জন্য মায়ের দুধ সর্বোত্তম পুষ্টির উৎস। তাই প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। নবজাতকের প্রথম কয়েক সপ্তাহে হালকা জল দিয়ে ধোঁয়া যেতে পারে। শরীর পরিষ্কার রাখতে সাবধানতা অবলম্বন করুন। শিশুর রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত টিকা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ লেবুর ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

জন্মের পর থেকে শিশুকে বিভিন্ন টিকার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করুন এছাড়াও শিশু নিয়মিত টিক গ্রহণ খুবি গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের প্রয়োজনীয়তা তাদের বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হয় তাই তাদের ঘুমের সময়সূচি বজায় রাখুন। নবজাতকের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে তাদের বৃদ্ধি মনিটর করতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এটির মাধ্যমে শিশু স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ নিশ্চিত করা যায়।

গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঠিক পুষ্টি বিশ্রাম স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মা এবং শিশু সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব একটি সুন্দর স্বাস্থ্যকর পরিবার গঠনের সহায়ক।

গর্ভবতী মায়ের খাদ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে

গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা এর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে প্রথমে যে বিষয়টি আসে সেটি হচ্ছে গর্ভবতী মায়ের হাতের থেকে বিশেষ খেয়াল রাখা। গর্ভবতী মায়ের খাদ্যের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মা ও শিশু স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি গ্রহণ জরুরী বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করে শরীরের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা উচিত। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফল, সবজি ও ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে ডিম, দুধ, মাংস, বাদাম, দুধ, দই, সবুজ শাকসবজি, পালং শাক, লাল মাংস, ডাল, শস্য দানা বিভিন্ন রঙের ফল যেমন: আপেল, কলা, গাছের টমেটো ইত্যাদি খেতে হবে।

শিশু-এবং-মায়ের-দৈনন্দিন-যত্ন-নিতে-হবেএছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া সচল রাখে। গর্ভাবস্থার পরে চা, কফি এবং সোডা জাতীয় পানীয় খাওয়া সীমিত করতে হবে। নিয়মিত ছোট ছোট খাবার খেতে হবে এতে ব্লাড সুগার কম থাকবে এবং বমি বমি ভাব কম হবে। গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টিগুণের জন্য এবং যেকোন নির্দিষ্ট খাবারের বিষয়ে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। গর্ভবতী মায়ের খাদ্য স্বাস্থ্যকর হলে সুস্থ শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। তাই মা ও শিশু সুস্থতা বজায় রাখত চাইলে সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে।

গর্ভাবস্থার পরে মায়ের মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে

গর্ভাবস্থার পরে মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মায়ের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা শিশু এবং নিজের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। গর্ভাবস্থার পরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া একজন মায়ের জন্য খুবই জরুরী শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন তাই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন এবং দিনে সম্ভব হলে কিছু সময় বিশ্রাম করতে হবে। এছাড়াও ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম করতে পারেন যেমন হাটা বা প্রসারিত করা এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

গর্ভাবস্থার পরে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে যাতে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এটি শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখা এবং দেহের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সচল রাখে। এছাড়াও নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কোন সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সময় বের করুন।

পরিবারের সাথে আলোচনা করুন এবং প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। এটি মায়ের শরীরের পুনরুদ্ধার করে যা স্তন্যপান করানোর সময় মানসিকভাবে স্বাচ্ছন্দ বোধ করায় একজন মা কে। গর্ভাবস্থার পরে মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা জরুরী। সঠিক খাদ্য, বিশ্রাম, শারীরিক কার্যকলাপ এবং চিকিৎসা করলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

গর্ভাবস্থার পরে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে

গর্ভাবস্থার পরে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মা এবং শিশুর সুস্থতা ও সুখ কে প্রভাবিত করে। গর্ভাবস্থার পরে মা অনেক পরিবর্তনের মুখোমুখি হন। তাই মানসিক চাপ উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তার লক্ষণ চিহ্নিত করে সেগুলোর প্রতি সতর্ক থাকুন। এছাড়াও আপনার অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন পরিবার, বন্ধুদের সাথে। তাদের সহায়তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন প্রিয় কাজ বা মেডিটেশন করতে পারেন। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগ ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।

শারীরিক ও মানসিক সুসাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। তাই রাতে ভাল ঘুম এবং দিনে বিশ্রাম নিন যা মানসিক চাপ কমাবে। গর্ভাবস্থার পরে শিশুর যত্নে অংশগ্রহণ করলে আনন্দ এবং সন্তোষ লাভ হতে পারে এটি মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক তাই খুশি মনে শিশুর যত্ন নিন। গর্ভাবস্থার পরে মায়ের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সহায়তা করব

শিশুর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে

গর্ভাবস্থার পরে শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর স্বাস্থ্য বিকাশ এবং সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়। সেজন্য শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করাতে হবে প্রথম ছয় মাস এতে সমস্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। সঠিক পদ্ধতিতে স্তন্যপান করানো নিশ্চিত করুন আপনার বাচ্চাকে যাতে মা ও শিশুর জন্য আরামদায়ক হয়। তারপর বাচ্চার পরবর্তী ছয় মাসে ধীরে ধীরে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন যেমন ডালের পিউরি, সবজির পিউরি, ফলের পিউরি ইত্যাদি। এছাড়াও ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান।

শিশুকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে যান। এটি শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ মনিটর করতে সহায়ক এবং সময়মতো সকল প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া নিশ্চিত করুন। শিশুকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। গোসল করানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। বিশেষ জামাকাপড় ও জিনিসপত্র সব সময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম এর দিকে নজর দিতে হবে। নবজাতক শিশু সাধারণত দিনে ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তাই শিশুকে শান্ত নিরাপদ পরিবেশে ঘুমাতে দিন। এছাড়াও শিশুর সাথে কথা বলুন।

এছাড়াও গান গাইতে পারেন বা খেলনা দিয়ে খেলতে দিন যা শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক। আবার শিশুর শারীরিক কার্যকলাপের সুযোগ করে দিন যেমন পেটের উপর সময় কাটানো। তবে সে সময় চারপাশে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন তীক্ষ্ণ বা বিপদজনক জিনিসপত্র দূরে রাখুন। শিশুকে সঠিকভাবে নিরাপত্তা সিটে বসান। শিশুর সঠিক পরিচর্যা স্বাস্থ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশুর পুষ্টি গুণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মানসিক বিকাশের দিকে খেয়াল রাখলে শিশুর সুস্থ ও সুখী বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা সম্ভব।

গর্ভাবস্থার পরে শিশু এবং মায়ের দৈনন্দিন যত্ন নিতে হবে

গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা করতে চাইলে অবশ্যই শিশু এবং মায়ের দৈনন্দিন যত্ন নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি মায়ের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিশুর সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • পুষ্টিকর খাদ্য: এই সময় মাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার যেমন ফল, সবজি, শস্য, দুধ এবং প্রোটিনের উৎস খেতে দিতে হবে এবং পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ যা হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • শারীরিক কার্যকলাপ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাটা, যোগব্যায়াম বা শরীরকে প্রসারিত করতে হবে। এটি মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের পুনরুদ্ধারের সহায়ক।
  • মানসিক স্বাস্থ্য: গর্ভাবস্থার পরে মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যান, যোগ বা হালকা শখ করুন। পরিবার বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং তাদের সাথে অনুভূতি শেয়ার করুন।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা: গর্ভাবস্থায় নিয়ম মতো ডাক্তারি পরীক্ষা করা এটি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে সহায়ক। এছাড়াও সময় মতো প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া বিষয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলুন।
  • শিশুর যত্ন: নবজাতকের জন্য স্তন্যপান গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শিশুর সুস্থ আছে কিনা সেটি জানার জন্য শিশুর স্বাস্থ্যের লক্ষণ যেমন বৃদ্ধি এবং সাধারণ আচরণ মনিটর করুন।
  • পরিছন্নতা: মা ও শিশুর জিনিসপাতি গুলো সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুকে সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখতে মায়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থার পরে মায়েদের কি কি খাবার খেতে হবে

গর্ভাবস্থার পরে মায়েদের জন্য সঠিক পুষ্টি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিম্নে শরীরের পুনরুদ্ধার এবং সুস্থতার জন্য সহায়ক কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলো:

  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মসুর, ডাল, মুরগি, মাছ, ডিম।
  • দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ, দই, চিজ
  • ফল ও সবজি: পালং শাক, ব্রকলি, মটরশুটি, আপেল, কলা, কমলা, বেরি ইত্যাদি।
  • শস্যদানা: ওটস ব্রাউন রাইস রুটি
  • বাদাম ও বীজ: কেস্তা, পেস্তা, আমন্ড, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড ইত্যাদি।
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো।

গর্ভাবস্থায় পরে মায়েদের পুষ্টিকর এই খাবার গুলো খাওয়া জরুরী। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে পুনরুদ্ধার এবং সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই গর্ভাবস্থার পরে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করতে ভুলবেন না।

সঠিক সময়ে শিশুর সকল টিকা প্রদান করার গুরুত্ব

শিশুর সঠিক সময়ে সকল টিকা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশুর স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য একটি মৌলিক পদক্ষেপ হচ্ছে সঠিক সময় সকল টিকা প্রদান করা। টিকা শিশুদের কে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে যেমন ডিপথেরিয়া। সঠিক সময় টিকা দিলে শিশুর শরীরের এই রোগ গুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও টিকা শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করে এবং গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। এটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমায় আবার টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক মানসিক স্বাস্থের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। অসুস্থতা কম হলে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ স্বাভাবিক হয়।

সঠিক-সময়ে-শিশুর-সকল-টিকা-প্রদান-করতে-হবেযখন অধিকাংশ শিশুকে টিকা দেওয়া হয় তখন এটি একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে রোগের সংক্রমণ কমায় একে হার্ড ইমিউনিটি বলা হয় যা শিশুদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। অনেক দেশে শিশুদের জন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার পূর্ব শর্ত হিসেবে নির্দিষ্ট টিকা গ্রহণ করা আবশ্যক। তাই সঠিক সময়ে টিকা না দিলে সেই স্কুলে ভর্তি হতে সমস্যা হতে পারে। সঠিক সময়ের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে অভিভাবকরা শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ মুক্ত থাকতে পারে।

এটি তাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়ক। এছাড়াও অনেক টিকা শিশুর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়। তাই শিশুর সকল টিকা সঠিক সময় প্রদান করা একটি মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা। এটি শিশুর দীর্ঘমেয়াদি সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে টিকার সময়সূচি মেনে চলা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থার পর মাকে কিছু শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে

গর্ভাবস্থার পর মায়ের শারীরিক কার্যকলাপ করা খুবই জরুরি। কারণ গর্ভাবস্থার পরের সময় মায়ের শরীর তার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সময় নেয়। শারীরিক কার্যক্রম যেমন হাঁটা, হালকা ব্যায়াম মায়েদের শারীরিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থার পরে ওজন বৃদ্ধি পায় তাই শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ জাম খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

এছাড়াও নিয়মিত শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে যা দৈনন্দিন কার্যক্রমে সহায়তা করে। আবার শারীরিক কার্যক্রম মানসিক চাপ কমাতে এবং বিষন্নতা বা উদ্বেগের উপসর্গ কমাতে সহযোগিতা করে যা মা ও শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শেষ কথা

গর্ভাবস্থার পরে একজন মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে এমন কি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি রাখতে হবে যার ফলে শিশুর স্বাস্থ্যও উন্নত হবে। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা গর্ভাবস্থার পরে মা ও শিশুর পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

এরকম আরও তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 33612

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url