মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়
মন খারাপ বন্ধ করার উপায় মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয় ? যদি এই বিষয়টি জানা থাকে তাহলে আমরা খুব সহজেই মন খারাপ দূর করতে পারবো। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। এই মন খারাপ দূর করার জন্য বেশ কিছু করণীয় রয়েছে।
আপনার মন যদি হঠাৎ করে কোন বিষয়ের প্রতি খারাপ হয়ে যায় তাহলে মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়? এই বিষয়টি জেনে রাখুন। বেশ কিছু সূরা রয়েছে যেগুলো নিয়মিত পড়লে আমাদের মন খারাপ অনেকটাই কমে যাবে।
পেজ সূচিপত্রঃ মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়
- মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়
- মন খারাপ হলে কোন দোয়া পড়তে হয়
- কোন সূরা পড়লে মনে শান্তি আসে
- কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়
- কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়
- কোন সূরা পড়লে জ্ঞান বাড়ে
- মন খারাপ থাকলে কি করা উচিত
- মন খারাপ বন্ধ করার উপায়
- মন ভালো করার জন্য কি করতে হবে
- আমাদের শেষ কথা
মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়
মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়? এ বিষয়ে আমাদের জানা জরুরি। অনেকের হুটহাট কারণেই মন খারাপের বিষয়টি দেখা দিয়ে থাকে। সে সময় আমরা বুঝতে পারি না কি করলে আমাদের মন ভালো হবে। ইসলামে মন খারাপের জন্য বেশ কিছু সূরা ও দোয়া রয়েছে এ দোয়া গুলো যদি আমরা আমল করি তাহলে অবশ্যই মন খারাপ থেকে মুক্তি পেতে পারবো। তাই আমাদের উচিত মন খারাপ থাকলে দোয়া পড়া। আপনি মন খারাপ থাকলে কোন দোয়া পড়বেন সে বিষয়ে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ শবে কদর সম্পর্কিত হাদিস - শবে কদরের রাত চেনার উপায় কি
মানুষের মন পরিবর্তনশীল কখনো খারাপ কখনো বা ভালো। অনেকের মন ভালো থাকলেও হঠাৎ করে দুশ্চিন্তা, হতাশা, বিষন্নতা, গোমরার মত বিষয়টি দেখা দিয়ে থাকে। রাসুল সাঃ বলেন, আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে জানি, যা কোনো বিপদগ্রস্ত লোক পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন। সেটি হচ্ছে সূরা ইউনুস।
উচ্চরনঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই, আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি। {তিরমিজিঃ ৩৫০৫}
যখন মানুষের মন ঠিক থাকে তখন মানুষের পুরো শরীরে ঠিক থাকে এবং মন যখন খারাপ থাকে তখন পুরো শরীর অকেজো হয়ে যায়। মানুষের মনে দুশ্চিন্তা হতাশা বিরাজ করে। তখন সে বিভিন্ন বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে এবং দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন। যা ইসলামের কখনোই বলা হয়নি। দুশ্চিন্তা, হতাশা মানুষের মনে বিরাজ করবে এটা স্বাভাবিক। আর এ সময় শয়তান বেশি বেশি করে কুমন্ত্রনা দিয়ে থাকেন।
শয়তানের প্রথম হাতিয়ার হল দুশ্চিন্তা ও হতাশা। কারন এই সময়ে সবাই আল্লাহর ওপরে ভরসার হাত ছেড়ে দেয় আর শয়তান আমাদের পথভ্রষ্ট করতে চাই। তাই আমাদের উচিত এ সময় দুশ্চিন্তা থেকে দূর হতে আল্লাহর জিকির আজগার ও সূরা ইউনুস বেশি বেশি পাঠ করা।
মন খারাপ হলে কোন দোয়া পড়তে হয়
মন খারাপ হলে কোন দোয়া পড়তে হয়? এ বিষয়ে আমাদের জেনে থাকা উচিত। কারণ মন খারাপ বিষয়টি আমাদের মাঝে যখন তখন উদয় হয়ে থাকে। তাই মন খারাপ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই ইসলামে কিছু দোয়ার কথা বলেছেন সে দোয়া গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে আমল করতে পারি তাহলে অবশ্যই মন খারাপ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। ইসলামে দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পেতে নবী করীম সাঃ আমাদের অনেক দোয়া শিখিয়ে গেছেন। এর মধ্যে রয়েছে হতাশা দুশ্চিন্তা মানসিক অশান্তি ও বিপদ আপদ এর দোয়া।
আরবিঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخلِ وَالجُبنِ، وَضَلَعِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে অপারগতা ও অলসতা থেকে কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। আনাস রাঃ বর্ণনা করেন, রাসুল সাঃ চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পড়তেন। {বুখারিঃ ২৮৯৩}
দুশ্চিন্তা হতাশা ঋণগ্রস্থতা মানুষের সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত রয়েছে। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহতালা আমাদের উপরোক্ত দোয়াগুলো পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের উচিত মন খারাপের সময় বা বিভিন্ন দুশ্চিন্তার সময় এবং খারাপ সময়ের সময় আমাদের বেশি বেশি উপরের এই আমলটি করা। ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করিম সাঃ দুশ্চিন্তা, পেরেশানির সময় নিচের দোয়াটি পড়তেন।
আরবিঃ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ الْعَظِیْمُ الْحَلِیْمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِیْمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْکَرِیْمُ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আযীমুল হালীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুল আরশিল আযীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল আরশিল কারীম।
অর্থঃ এক আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি মহান এবং সহনশীল, এক আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই যিনি আরশে আলীমের মালিক, এক আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই যিনি আসমান, জমিন এবং মহা আরশের মালিক। {মুসলিমঃ ২০৯২}
আমাদের মুসলমান হয়ে উচিত সবসময় আল্লাহতালাকে স্মরণ করা। সুখে-দুখে বিপদ-আপদ ও দুশ্চিন্তা, হতাশা বিভিন্ন সময়ে আমরা আল্লাহকে স্মরণ করব। আল্লাহতালা নিশ্চয় আমাদের সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
কোন সূরা পড়লে মনে শান্তি আসে
কোন সূরা পড়লে মনে শান্তি আসে সে বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। মন খারাপ খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার যখন তখন আমাদের মন খারাপ বিষয়টি দেখা দিয়ে থাকে এ সময় কোন কাজে মন বসে না। বিভিন্ন খারাপ চিন্তা মাথায় আসে তাই মনকে স্থির করতে এবং স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই আমাদের কিছু সূরা আমল করা উচিত। তাই আপনার মনকে শান্তি দিতে কোন সূরা পড়বেন সে বিষয়ে জেনে নিন।
আল্লাহ তাআলা সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন দোয়া সম্পর্কে আমাদের বলে গেছেন এই দোয়া পাঠ করলে অবশ্যই আমাদের মন স্থির ও শান্তি অনুভব করতে পারব। শয়তান আমাদের বিভিন্নভাবে ধোকা দিয়ে থাকে শয়তানের প্রধান হাতিয়ার হল আমাদের মাঝে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা উদয় হওয়া। কারণ এ সময় আমরা আল্লাহতালার কথা বা তার অনুগ্রহ ভুলে গিয়ে দুশ্চিন্তা বা হতাশায় ভুগে থাকি আর এ সময়কে শয়তান কাজে লাগিয়ে থাকেন।
শয়তানের এ কাজ কখনোই সফল হতে দেওয়া যাবে না সেজন্য আমাদের সব সময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ এবং আল্লাহ তাআলার বর্ণিত আয়াতগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং বেশি বেশি আমল করতে হবে। মন ভালো করতে আপনি আল্লাহ তাআলার জিকির আজগড়ে মগ্ন থাকতে পারেন। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। আপনি যখন তেলাওয়াত করবেন তখনই আপনার মনে শান্তি অনুভূতি হবে। আয়াতটি কোরআনে কারিমের সূরা হুদের ১১২ নম্বর আয়াত। আয়াতটি হলোঃ
আরবিঃ فَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ وَلَا تَطْغَوْا إِنَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
উচ্চারণঃ ফাসতাকিম কামা উমিরতা ওয়ামান তাবা মাআকা, ওয়ালা তাতগাও ইন্নাহু বিমা তা’মালুনা বাসির।
অর্থঃ সুতরাং (হে পয়গম্বর) তোমাকে যেভাবে আদেশ করা হয়েছে তাতে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করো, তুমি এবং তোমার সঙ্গে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছো তা সীমালংঘন করো না। তোমরা যা করো তিনি (আল্লাহ) তা সম্পর্কে তিনি অবগত।
কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়
মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়? ইতিমধ্যেই জেনেছি। কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়? চলুন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। দোয়া কবুলের জন্য আমরা বিভিন্ন আমল করে থাকি কিন্তু কোন সূরায় আমাদের দোয়া কবুল হয় সে বিষয়ে সঠিকভাবে হয়তো অনেকেই জানিনা। আজকে আপনাদের আমরা দোয়া কবুলের জন্য কোন সূরা পড়বেন সে বিষয়টি সম্পর্কে জানাবো। আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ ও রহমত পেতে এবং আমাদের মনের আশা পূরণ করতে আমরা বিভিন্ন আমল ও পন্থা অবলম্বন করে থাকি।
অনেকেই আছেন হাজার বছর ধরে দোয়া করলো আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন না আবার অনেকেই আছেন দোয়া চাওয়ার সাথে সাথেই আল্লাহতালা কবুল করে নেন। আল্লাহতালা পরম করুনাময় অসীম দয়ালু এটি আমরা সকলেই জানি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলেরই মনের আশা পূরণ করে থাকেন। আমরা যখন উপর ওয়ালার কাছে হাত তুলে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তা খালি হাতে কখনোই ফিরিয়ে দেন না হয়তো কারো সাথে সাথেই দোয়া কবুল করেন অথবা, কারো একটু দেরিতে।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের চাওয়া গুলো পূরণ করে থাকেন। আল্লাহ যখন ইচ্ছা তখনই সে জিনিস দান করে থাকেন আমরা হাজার চাইলেও আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ করতে পারব না যতক্ষণ না আল্লাহ চাইবেন। তিনটি দোয়া আল্লাহ তা'আলা দ্রুত কবুল করেছেন তাই অনেকেই মনে করেন হয়তো এ তিনটি দোয়ার মাধ্যমে যদি আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে চাই তাহলে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই কবুল করবেন।
আরবি উচ্চারণঃ আন্নী মাচ্ছানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দুঃখ-ক্লেশ (ব্যাধি) স্পর্শ করেছে, আর তুমি তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু। {সূরা আম্বিয়াঃ ৮৩}
হজরত ইউনুস আঃ দোয়া করেছিলেনঃ
আরবি উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।
অর্থঃ তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার। {সূরা আম্বিয়াঃ ৮৭}
কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়
কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়? মনের আশা পূরণ করতে আমরা বহু চেষ্টা করে থাকি এবং বহু উপায় অবলম্বন করে থাকি কিন্তু কোন ফল পায়না। আপনার মনের আশা পূরণ করতে হলে অবশ্যই কিছু আমল ও দোয়া রয়েছে যে দোয়াগুলো মন থেকে পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই কবুল করবেন চলুন মনের আশা পূরণের সে দোয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
মনের আশা পূরণের জন্য ইসমে আজম পাঠ করা অত্যাবশ্যক। ইসমে আজম অর্থ আল্লাহতালার গুণবাচক শ্রেষ্ঠ নাম। আমরা যদি আমাদের আল্লাহতালার গুণবাচক শ্রেষ্ঠ নাম দিয়ে জিকির করি আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই খুশি হয়ে আমাদের মনের সকল চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ করবেন। কোরআন মাজিদে যে সূরাগুলো দোয়া গুলো ইসমে আজম নামে পরিচিত সে দুয়া গুলো সম্পর্কে জেনে নিন এবং বেশি বেশি পাঠ করুন।
সুরা বাকারাহর ২৫৫ নম্বর আয়াত তথাঃ আয়াতুল কুরসিতে। ইরশাদ হয়েছে, "আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকার মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।"
সুরা আলে ইমরানের প্রথম দুই আয়াতেঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, "আলিফ, লাম, মীম। আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকার মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।"
সুরা ত্ব-হার ১১১ নম্বর আয়াতেঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, "চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সম্মুখে সবাই হবে অধোমুখী।" {আল মুসতাদরাক আলাস সহীহায়নঃ ১/৫০৬}
কোন সূরা পড়লে জ্ঞান বাড়ে
কোন সূরা পড়লে জ্ঞান বাড়ে? জ্ঞান আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামত। জ্ঞানের সঠিক ব্যবহার স্মৃতিশক্তিকে অটুট রাখে এবং দিন দিন তা বাড়তে থাকে। আপনি যত চর্চা করবেন আপনার জ্ঞান তত বৃদ্ধি পাবে। অনেকেরই ব্রেন ছোটতে ভালো থাকে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে তা কমতে থাকে। কিন্তু কোরআনুল কারিমে একটি সূরা আছে যদি আপনি নিয়মিত পাঠ করেন তাহলে আপনার জ্ঞানের পরিমাণ আরো বাড়তে থাকবে তাই আমাদের এই সূরা সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত।
আরবিঃ رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণঃ রাব্বি যিদনি ইলমা
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। {সুরা ত্বাহা, আয়াতঃ ১১৪}
মন খারাপ থাকলে কি করা উচিত
মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়? এ বিষয়টি জানা থাকলে আমরা খুব সহজে দোয়া করে আমাদের মন ভাল করে নিতে পারব। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা করে থাকি বিশেষ করে খারাপ চিন্তা ভাবনায় আমাদের মনে বেশি উদয় হয়ে থাকে। কারণ খারাপ চিন্তা আসা শয়তানের কাজ শয়তান এ সময় আমাদের মনে নানা খুব চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দেয়। এ মন খারাপ থেকে এবং শয়তান থেকে মুক্তি পেতে আমাদের এমন কিছু আমল ও দোয়া পড়া উচিত যেন আমরা খুব জলদি মন খারাপ থেকে বের হতে পারি।
মন খারাপ থাকলে আপনি আল্লাহ তাআলার স্মরণ বেশি বেশি জিকির-আজগার করবেন বিশেষ করে যখনই আপনার মন খারাপ হবে তখনই অজু করে কোরআন তেলাওয়াত করতে বসে যাবেন। দেখবেন কোরআন তেলাওয়াত করার মাধ্যমে আপনার মনে একটি শান্তি অনুভূতি হচ্ছে। আপনার মনের সকল চাওয়া পাওয়া এবং দুঃখগুলো ও মন খারাপের কারণগুলো আল্লাহতালার কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করুন দেখবেন আল্লাহ তা'আলা নিশ্চয়ই আপনার মনের আশা গুলো পূরণ করবেন।
অনেকেই মন খারাপ থাকলে বিভিন্ন গান বাজনা শোনার চেষ্টা করেন, কিন্তু ইসলামের এটি সম্পূর্ণ হারাম। মন খারাপের সময় এসব না করে আমাদের উচিত আল্লাহতালাকে বেশি বেশি স্মরণ করা কারণ আল্লাহ ছাড়া আমাদের মনে কে শান্তি আনতে পারবে না। যদি আপনি এই কাজগুলো নিয়মিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার মন খারাপ হতে ভালো হয়ে যাবে
মন খারাপ বন্ধ করার উপায়
মন খারাপ বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। মন খারাপ খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার হলো পরবর্তীতে এটি মারাত্মক আকার রূপ নিয়ে থাকে। মন খারাপের আসল মন্ত্র হলো কোন চিন্তা ভাবনা যা শয়তান আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। মন খারাপ বন্ধ করতে হলে বেশ কিছু উপায় রয়েছে সে উপায় গুলো মেনে চললে মন খারাপ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারি।
আমল করাঃ মন খারাপ বন্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল আল্লাহ তালার জিকির আজগর এবং বিশেষ বিশেষ দোয়া গুলো আমল করা। আল্লাহর নাম গুলো বেশি বেশি পাঠ করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির-আজগারের সময় দেওয়া। মন খুলে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করা। ওভাবে আমল করলে দেখবেন আপনার মন অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে।
পছন্দের কাজ গুলো করাঃ মন খারাপ সময়ে আপনি আপনার পছন্দের যেকোনো কাজ করতে পারেন এ সময় দেখবেন আপনার মন অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে। কারণ আমরা পছন্দের কাজ করতে অনেকেই ভালোবেসে থাকি এ সময় আপনার পছন্দের বিভিন্ন রান্না করে বা বিভিন্ন শখের কাজ গুলোতে নিজেকে সময় দিতে পারেন।
বই পড়ুনঃ বেশি বেশি বই পড়তে পারেন কারণ বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে সেটি আপনার পছন্দের বই হোক কিংবা হাদিসের বই, যেকোনো বই পড়লে আপনি আপনার মনকে ব্যস্ত রাখতে পারবেন এতে করে মন খারাপের বিষয়টি আপনার মনে নাড়া দেবে না ।
নিজেকে সময় দিনঃ প্রতিদিনের ব্যস্ততার সময়ে নিজেকে সময় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিজের প্রতি যত্নশীল হন নিজের পছন্দের কাজ বা বিভিন্ন বিষয়ে নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন। যা মন চায় তাই করার চেষ্টা করুন।
অন্যের সাথে মনের কথা প্রকাশ করুনঃ মন খারাপের বিভিন্ন বিষয় বা কারণ রয়েছে সে কারণগুলো যদি আমরা মনের মানুষের কাছে প্রকাশ করতে পারি তাহলে মনের ভেতরটা অনেকটাই হালকা হয়ে ওঠে সেটি আপনার বন্ধু-বান্ধব হোক, পরিবার হোক বা মনের মানুষ।
মন ভালো করার জন্য কি করতে হবে
মন ভালো করার জন্য কি করতে হবে? সে বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক। মন ভালো করার জন্য বিভিন্ন উপায় আমরা অবলম্বন করে থাকি তারপরও কেন জানি মনের মধ্যে আনমনা কাজ করে থাকে। মন ভালো করার জন্য কিছু কাজ করুন যে কাজ গুলো আপনার মনে শান্তি দিতে পারে। মন ভালো করার প্রধান কাজ হল আমল করা। বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও আমলে মগ্ন থাকুন। মন খারাপের সময় আপনি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে কাছে পাবেন না।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের রাতে নামাজ পড়ার নিয়ম - শবে কদরের ফজিলত
পৃথিবীতে সকলেই স্বার্থপর শুধু আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া আমাদের মন থেকে কেউই ভালোবাসেন না। আল্লাহ রহমানের রাহিম পরম দয়ালু তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা তাই আমাদের উচিত সকল চাওয়া-পাওয়া ও মন খারাপের বিষয় গুলো আমরা আল্লাহর কাছে তুলে ধরা এতে করে মনে শান্তি ফিরে আসবে। বেশি বেশি এ সময় ইসমে আজম পাঠ করুন কারণ ইসমে আজম হলো দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ আমল মন খারাপের সময় গুলোতে ইসমে আজম পাঠ করা জরুরী।
আমাদের শেষ কথা
মন খারাপ থাকলে কোন সূরা পড়তে হয়? সাধারণত এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত। মন খারাপ থাকলে আমার বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি। আবার অনেকেই মন খারাপ থাকলে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা করে থাকি। এই চিন্তাগুলো দূর করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই মন খারাপ করতে হবে। এ ধরনের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আমাদের আর্টিকেলের বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url