বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪

 বাংলাদেশে কত সালে বিদ্যুৎ আসেবাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪ নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আগে তুলনায় বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কেমন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় এই বিষয়টি জানা নেই।

বাংলাদেশের-বিদ্যুৎ-উৎপাদন-ক্ষমতা-কত-২০২৪

আপনি যদি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এখানে আমরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪ যদি জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা যাচ্ছে সাধারণত এই সমস্যা কেন হচ্ছে? কিছুদিন আগেও যেখানে বাংলাদেশের বিদ্যুতের তেমন কোন ঘাটতি ছিল না। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে বাংলাদেশে আসলে কতটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আপনি যদি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সম্পর্কে ধারণা নিতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল আপনার জন্য।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় - অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪

বিদ্যুৎ বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষ প্রায় অচল বললেই চলে। আমাদের দৈনন্দিন কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়। বর্তমান সময়ে মানুষ বিদ্যুৎ দ্বারা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে এক বেলা বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। কিছুদিন থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে তাই অনেকে মনে করছে যে বাংলাদেশে হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কমে গিয়েছে।

২০২৪ সালের সরকারি বেসরকারি এবং যৌথ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অন্তত ৫ হাজার ৪৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এই উৎপাদন করা বিদ্যুৎ এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২ হাজার ৭৭৪ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো থেকে ১ হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট তাছাড়া যৌথ যে সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে এগুলো থেকে ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা পৌঁছাবে প্রায় ৩১ হাজার ৪৩১ মেগাওয়াটে।

বাংলাদেশে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়

বাংলাদেশে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়? এই বিষয়টি জানতে চেয়ে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকে। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা প্রায়ই অচল। কারণ বর্তমানে প্রজন্মের মানুষ বিদ্যুৎ দ্বারা এতটাই নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি না আবার বিদ্যুৎ না থাকলে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে চার্জ করতে পারি না।

মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতি দেখা দেয়। বিদ্যুতের এই ঘাটতি দূর করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকেই জানতে চাই যে বাংলাদেশে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়? সাধারণত এই বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত উল্লেখ করেছি যে এই বছর অর্থাৎ চলতি বছর বাংলাদেশ কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একদিনের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।

ধীরে ধীরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে নজর দিচ্ছে। একদিনের সর্বোচ্চ এই বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছে গত বছর ১৯শে এপ্রিল। বর্তমান সময়ে যে গরম পড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা আরো অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কয়টি

বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কয়টি? এ বিষয়ে আমরা অনেকেই তেমন কোনো ধারণা রাখি না। যেহেতু বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের অনেকটাই ঘাটতি দেখা দিচ্ছে তাই অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জাগে। জুলাই বিপ্লবের পরে সরকার পতন হয় সাধারণত এর পরেই বিদ্যুতের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আর বিদ্যুতের এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণেই সাধারণ জনগণের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জেগেছে। আমরা প্রথম থেকে শুনে আসছি যে বাংলাদেশে চাহিদার চাইতে বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। তবে কেন এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে?

আমাদের বাংলাদেশের মোট ১৫৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে এর মধ্যে ৪৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পূর্ণ ক্ষমতার সাথে চলমান রয়েছে এবং বাকি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্তত ৫৩টি রক্ষণাবেক্ষণ এবং জ্বালানির অভাবে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী এই বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রায় ৪ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট। এবং বাকি গুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৭ হাজার ৮৫৫ মেগাওয়াট। কিন্তু জ্বালানের অভাবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কত

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪? নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেহেতু বিদ্যুৎ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছি সেহেতু বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় রয়েছে? চলুন এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কারণ প্রতি বছর বাংলাদেশের বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। অনেকেই বলে থাকে যে চাহিদার চাইতে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ-উৎপাদনে-বাংলাদেশের-অবস্থান-কত

বাংলাদেশের যতই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হোক না কেন বিশ্বের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কিন্তু অনেকটাই কম। ২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বিদ্যুতের কাঠামো কত দক্ষ দক্ষতার দিক দিয়ে বিশ্বের ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে ১১৮ তম। সাধারণত এই পরিসংখ্যান থেকেও খুব ভালোভাবেই বোঝা যায় যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিশ্বের তুলনায় কোন জায়গায় রয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত? আশা করছি আপনারা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত ভাবে উপরের আলোচনা থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। তবে সঠিক সংখ্যায় কত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় এই বিষয়ে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে একদিনের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড রয়েছে। একদিনে বাংলাদেশের সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

যত দিন যাচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন উৎপাদন তেমন খরচ। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধীরে ধীরে আরো বেশি বাড়ানো হবে। অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বর্তমান সময়ে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সাধারণত তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে।

বাংলাদেশের সবচাইতে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কোনটি

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। যেহেতু আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে আলোচনা করছি সেহেতু বাংলাদেশের সবচাইতে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কোনটি? এই বিষয়ে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে অনেক গুলো।

বর্তমানে সময়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার মেগাওয়াট তাহলে বোঝা যায় যে বাংলাদেশ কতগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অনেক গুলো সঠিক পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। যদি ওই বিদ্যুৎ উৎপাদন গুলোর সঠিক পরিচর্যা করা হতো তাহলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেতো।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক গুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান রয়েছে এগুলোর মধ্যে সবগুলো থেকেই মোটামুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। আবার কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লার কারণে বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের যতগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে এগুলোর মধ্যে সবচাইতে বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হল পায়রা তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। তাহলে আমরা খুব ভালোভাবে জানতে পারলাম যে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হলো পায়রা উৎপাদন কেন্দ্র।

বাংলাদেশে কত সালে বিদ্যুৎ আসে

বাংলাদেশে কত সালে বিদ্যুৎ আসে? আমরা কয়জন এই তথ্যটি সম্পর্কে জানি। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের সকলের বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে। শহর থেকে শুরু করে যে সকল গ্রাম অঞ্চল রয়েছে প্রায় সব গুলোতেই বিদ্যুতের প্রভাব পৌঁছে গিয়েছে। বাংলাদেশের কোন গ্রাম নেই যেখানে বিদ্যুৎ নেই। তবে আপনি কি জানেন যে কত সালে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে প্রথম এসেছে? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কোন ধারণা রাখি না।

আরো পড়ুনঃ ২০টি সেরা উপায় দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার

বাংলাদেশের প্রথম এসেছিল রাজধানী ঢাকায় প্রায় বিংশ শতকের প্রথম দিকে অর্থাৎ প্রথম বছরে। তখন বিদ্যুৎ আনতে যে সকল খরচ হয়েছিল সে খরচ গুলো গ্রহণ করেছিল বাংলার তৎকালীন নবাব নবাব আহসানউল্লাহ। ১৯০১ সালের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ প্রথম ঢাকার রাস্তায় বিদ্যুৎ বাতি জ্বলে ওঠে। তাহলে এখান থেকে আমরা খুব ভালোভাবে জানতে পারি যে ২০ শতাব্দীর প্রথম দিকে বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎ এসেছিল।

বর্তমানে বাংলাদেশের লোডশেডিং হওয়ার কারণ

বর্তমানে বাংলাদেশের লোডশেডিং হওয়ার কারণ অনেকেই জানতে চাই। যেহেতু বর্তমান সময়ে মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই কিছুক্ষণ লোডশেডিং হলেই বিরক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শহরের চাইতে গ্রামে লোডশেডিং এর সংখ্যা সবচাইতে বেশি। তাই অনেকেই এই লোডশেডিং এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনাদের সুবিধার্থে বলে দিতে চাই যে লোডশেডিং হওয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে। আমরা এগুলো না জেনেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানুষদেরকে বকাবকি করে থাকি।

বর্তমানে-বাংলাদেশের-লোডশেডিং-হওয়ার-কারণ

১। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের লোডশেডিং হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডলার সংকট। সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের যে সকল সমস্যা দেখা দিচ্ছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডলার সংকট। সাধারণত এই কারণে বাংলাদেশে আগের থেকে প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে।

২। জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা হওয়ার কারণে লোডশেডিং অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে পূর্বের বাংলাদেশ সরকার অর্থনীতির একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর নির্ভর করে তারা একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সাধারণ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করার জন্য গ্যাস এর পাশাপাশি তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত এর কারণ বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে এবং বর্তমানে লোডশেডিং অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩। তাছাড়া বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিকল্পিত বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিস্থাপন করা। আপনি যদি ভালোভাবে অপরের আর্টিকেল গুলো লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি যে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে আপনাদের যে সকল প্রশ্ন রয়েছে প্রায় সব গুলোই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যতদিন যাচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার মেগাওয়াড। সাধারণত এটি বাংলাদেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি। তবুও বাংলাদেশের বিভিন্ন কারণে লোডশেডিং দেখা যাচ্ছে। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেল পড়েন তাহলে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কত ২০২৪ এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে ইতিমধ্যে আমরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া। এতে করে আপনি বিস্তারিত ভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url