ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে

 ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে


ডায়াবেটিস বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি মূলত শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন বা ব্যবহার ক্ষমতার ব্যাঘাতজনিত কারণে হয়। ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়, তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং অনেক ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।

এই নিবন্ধে আমরা ডায়াবেটিসের কারণ, প্রকারভেদ, লক্ষণ, প্রতিরোধের উপায় এবং এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি আমাদের এই আটিকেল পড়ে ডায়াবেটিস সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

পেজসূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে

ডায়াবেটিস কী 

ডায়াবেটিসের প্রধান দুই ধরনের বর্ণনা

ডায়াবেটিসের কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়

আমাদের শেষ কথা

ডায়াবেটিস কী: ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে 

ডায়াবেটিস (Diabetes Mellitus) হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী মেটাবলিক সমস্যা, যা রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিন নামক হরমোনটি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় বা ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করে না, তখন ডায়াবেটিস দেখা দেয়। অন্য কথায়,

ডায়াবেটিস (Diabetes) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) রোগ, যা শরীরে রক্তের গ্লুকোজ (Blood Glucose) বা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি তখন ঘটে যখন অগ্ন্যাশয় (Pancreas) পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন (Insulin) উৎপাদন করতে পারে না বা শরীরে  উৎপাদিত  ইনসুলিনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করলে হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, স্নায়ুর ক্ষতি ও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো গুরুতর স্বাস্থ্যসমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

আরো পড়ুনঃ

ডায়াবেটিস প্রধানত দুই প্রকারঃ

১ । টাইপ ১ ডায়াবেটিস 

 ২।  টাইপ ২ ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিসের কারণ:ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে  

ডায়াবেটিস মূলত ইনসুলিন হরমোনের অস্বাভাবিকতার কারণে হয়, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. জেনেটিক (বংশগত) কারণঃ পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার  সম্ভাবনা বেশী থাকে। পরিবারের কারও ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ উচ্চমাত্রার শর্করা, ফাস্ট ফুড ও জাঙ্কফুড নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে  ডায়াবেটিস হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।বেশি পরিমাণে চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য বড় কারণ।

৩.  অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতাঃ  বেশি ওজন বা শারীরিক গঠন বিশাল আকার হলে ইনসুলিন প্রতিরোধের  ক্ষমতা থাকেনা।  এমতাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। অতিরিক্ত ওজন হলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪. শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাঃ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাঃ পরিশ্রম না করে অলস জীবন যাপন করলে কিংবা নিয়মিত ব্যায়াম না করলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।পর্যাপ্ত শরীরচর্চা না করলে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করে না।

৫. হরমোনজনিত সমস্যাঃ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) ও হরমোনজনিত অন্যান্য সমস্যা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।

৬. স্ট্রেস ও মানসিক চাপঃ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ  ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে অধিক টেনশনজনিত কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ শরীরের হরমোন ব্যালান্সে সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৭. ধূমপান ও মদ্যপানঃ যাদের ধুমপান  কিংবা  মদ্যপান করার অভ্যাস বেশী  তাদের  ইনসুলিন তৈরির সক্ষমতা হ্রাস পায়। বিধায়  ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে। এগুলো ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ায়।

৮. বয়স বৃদ্ধিঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন ও কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। ডায়াবেটিস হওয়া সম্ভব না থাকে।

৯. গর্ভকালীন ডায়াবেটিসঃ  গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে পরবর্তীতে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

এই কারণগুলোর মধ্যে অনেকগুলো প্রতিরোধযোগ্য। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ:ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে

ডায়াবেটিস হলে বিভিন্ন রকমের লক্ষণ দেখা দেয় তবে  সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

১। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াঃ  শারীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ জমা হলে কিডনি তা বের করে দিতে চায়, ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়।

২. অতিরিক্ত পিপাসাঃ বারবার প্রস্রাবের চাপ বেড়ে যাওয়া, শরীর পানিশুন্য হয়ে যায়  বা দুর্বলতা অনুভব করা। তাই অনেক বেশি তৃষ্ণা  লাগে।

৩। অতিরিক্ত ক্ষুধাঃ দেহের কোষ গ্লুকোজ সঠিকভাবে গ্রহণ করতে না পারায় শক্তির ঘাটতি হয়, ফলে ক্ষুধা বেশি লাগে।

৪. ওজন কমে যাওয়াঃ ইনসুলিন কাজ না করলে শরীর চর্বি ও পেশি ভেঙে শক্তি উৎপাদন করে, এতে ওজন দ্রুত কমতে  থাকে।

৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা ঃ  শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি তৈরি না হওয়ায় সব সময় ক্লান্তি অনুভূত হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

৬. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়াঃ উচ্চ রক্তে শর্করার কারণে রক্ত সঞ্চালন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, ফলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয় না। যারা ডাইবেটবেটিসে আক্রান্ত হয় তাদের শরীরে কোথায়ও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে সহজে শুকাতে চায় না বা ঘা সারতে অনেক দেরি হয়।

৭. দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়াঃ উচ্চ রক্তে শর্করা চোখের রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এতে দৃষ্টিশক্তি অস্পষ্ট হয়ে যায় এবং ঝাপসা দেখা যায়।

৮. হাত-পা ঝিনঝিন করা বা সংবেদনশীলতা কমে যাওয়াঃ ডায়াবেটিস স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে, ফলে হাত-পায়ে ঝিনঝিন বা অসাড় অনুভূতি হয়।

৯. ত্বকের সমস্যা ও সংক্রমণঃ ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেশি হতে পারে।

১০. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়াঃ রক্তে শর্করার তারতম্যের কারণে মনের ওপর প্রভাব পড়ে, যা হতাশা বা খিটখিটে ভাব তৈরি করতে পারে।

যদি এই লক্ষণগুলোর কোনোটি দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত রক্তে শর্করার পরীক্ষা করানো উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যদি উপরের লক্ষণগুলোর মধ্যে একাধিক লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করা জরুরি।

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যদিও টাইপ ১ ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণঃ সঠিক খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

২। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) খাবার খানঃ যেমন— ওটস, ব্রাউন রাইস, ডাল, সবুজ শাকসবজি।

৩। চিনি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুনঃ  সাদা ভাত, ময়দার রুটি, মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

৪। প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খানঃ  যেমন— ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি।

৫। স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুনঃ  যেমন— অলিভ অয়েল, বাদাম, মাছের তেল।

৬। পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ  দিনে কমপক্ষে ১০--১৫ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন।

আরো পড়ুনঃ

৭। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ শারীরিক পরিশ্রম ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ও রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে।.

৮। হাঁটাহাটিঃ  প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটাহাটি  করুন।

৯। কার্ডিও ও স্ট্রেন্থ ট্রেনিংঃ  দৌড়ানো, সাইক্লিং, নিয়মিত যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

১০। ওজন নিয়ন্ত্রণ করুনঃ বাড়তি ওজন কমিয়ে আনলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। প্রতিদিন ক্যালোরি গ্রহণ ও ব্যয় করার মধ্যে ভারসাম্য রাখুন। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন, যেমন— ফাস্ট ফুড, জাংকফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলা, ঘরে রান্না করা খাবার নিয়মিত খাওয়া।১১ । মানসিক চাপ কমানোঃ ধ্যান ও মেডিটেশন করুন।পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করুন। প্রিয় কাজ করুন, যেমন-- বই পড়া, ভ্রমণ করা, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো,গান শোনা ইত্যাদি।

১২। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন,চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন,ইনসুলিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকর উপায় হলো:

১. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণঃ  শর্করার পরিমাণ কম এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান (যেমন: শাকসবজি, ফল, বাদাম, ছোলা, ডাল, ওটস ইত্যাদি)। পরিশোধিত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। লাল চাল বা ব্রাউন রাইস, হোল গ্রেইন রুটি ও অন্যান্য কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খান।বেশি চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার কম খান।

২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিসের বড় কারণ। ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন। শক্তি বাড়ানোর জন্য হালকা ওজন তোলা বা যোগব্যায়াম করুন।

৪. পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ  শরীরে পানির অভাব হলে ইনসুলিন কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

৫. স্ট্রেস কমানোঃ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়ার অভ্যাস করুন।

৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাঃ যদি পারিবারিকভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে, তাহলে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি প্রি-ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তাহলে দ্রুত জীবনধারার পরিবর্তন করুন।

৭. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করাঃ ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।  এগুলো বাদ দিলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।

৮. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাঃ প্রতিরাতে ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন। অনিয়মিত ঘুম ও অনিদ্রা ইনসুলিনের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

৯।পরিমিত খাবার খাওয়াঃ আপনার যদি ডায়াবেটিস না হয়ে থাকে  খাদ্য খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিত ও পরিমিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

শরীরচর্চা করুনঃ নিয়মিত এবং পরিমিত ব্যায়াম ও শারীর চর্চা করতে হবে।

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন এবং সর্বাবস্থায় এ গুলি পরিহার করতে হবে। নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করান।

আমাদের শেষ কথা

ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া কঠিন, তবে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সঠিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব। 

যদি লক্ষণ দেখা যায়, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিসের সঙ্গে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।

 এতক্ষন আমরা ডায়াবেটিসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছি । আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন তাহলে নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে পাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url