যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি

       যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি


বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ড্যাবল সেক্টর কোনটি 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি ১০টি কাজ করলে পাবেন অর্থ আয়ের এক বিশাল সম্ভাবনা । এগুলির  মাধ্যমে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আসুন আমরা সেই ১০টি বিষয়ে আলোচনা করি। মনে করুন আপনাকে অর্থ উপার্জনের দুইটি  রোডের সন্ধান দেয়া হলো।

একটি রোড দিয়ে টাকা ভর্তি পুকুরের দিকে  যাওয়া যায় । আরেকটি রোড দিয়ে টাকা ভর্তি সাগরের কাছে যাওয়া যায় । পুকুরের রাস্তায় অল্প পরিমাণ  টাকা পাওয়া যায়। সাগরের দিকের রাস্তাটিতে প্রচুর পরিমান টাকার সন্ধান পাওয়া যায় ।

 পেজসুচীপত্রঃ যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি
যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি
* ডিজিটাল মার্কেটিং
ফটোগ্রাফি
ওয়েব ডেভেলপিং
* ভিডিও এডিটিং
* শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং
* ইউটিউব মার্কেটিং
* গ্রাফিক্স ডিজাইন
* অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
* ফেসবুক মার্কেটিং
* সোশ্যাল মিডিয়া  মার্কেটিং
* আমাদের শেষ কথা

যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি 

আপনাদের অনেকেই   লেখাপড়া সমাপ্ত করে স্বাধীন পেশা গ্রহণ না করে চাকরির পিছনে ছুটছে  আর যাদের অভিভাবকের টাকা আছে তারা  ব্যবসা করতে চায় । চাকরির পিছনে না দৌড়ে পৃথিবীতে অনেক কর্ম আছে যার মাধ্যমে  আপনি প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন । সেই রাস্তা গুলি আপনার চতুর্দিকে বিদ্যমান আছে  সেগুলি আপনি গ্রহণ করছেন না ।

 কিন্তু  আমি আপনাকে বুঝাতে পারছি না যে এগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন, আমি যা বলতে চাচ্ছি হয়ত আপনি তা বুঝতে পারছেন না। বুঝতে পারবেন এই কনটেন্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। ধরুন আপনি ইউটিউবে পাঁচটি ছবি আপলোড করলেন । এ ছবিগুলোর দাম কত হবে ৫০০০,১০০০০, ৫০০০০ টাকা। মনে করেন, ৫টি ছবির ম মূল্য এক লক্ষ টাকা । আসলে এই ছবি গুলি অনলাইনে ১২০০০ ডলার বিক্রি হয় যা বাংলাদেশি টাকায় ১২ লক্ষ টাকার বেশী। যত দিন যাবে ছবিগুলি হতে আরও ইনকাম বাড়তে থাকবে ।

আরো পড়ুনঃ

 আপনার কি বিশ্বাস করেন যে,  আপনি কোন একটি কাজ আরম্ভ করেছেন মাত্র তিন বছর হলো । এই তিন বছরের মধ্যে আপনি বাড়ি-গাড়ি জমা-জমি কিনে ফেলেছেন । এই পেশায় আপনার মাসিক আয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা।  অথচ এটাই বাস্তব ও সত্য কথা ।  বিষয়টা আপনার অবিশ্বাস হলেও এটা অনেকের কাছে সহজ পথ। তাই আজ আমি এই আর্টিকেলে এমন ১০টি কাজের কথা বর্ননা দিব যেখানে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন । 
এখানে খেলাটা হচ্ছে সময় আর দক্ষতার ।  তাহলে চলুন সেই ১০টি কাজ সম্পর্কে জেনে নেয়া যায় ।   যে ১০ টি কাজের রয়েছে সোনার খনি। এই ১০টি কাজের যেকোনো একটির মাধ্যমে যে পরিমাণ ইচ্ছা সেই পরিমাণ টাকা আপনি ঘরে তুলতে পারবেন।
 ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি : ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং  অনলাইনে এক ধরণের দ্রব্য সামগ্রী বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার- প্রচারনা। উদাহরণ সবরূপ বলা যায় --সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবু্‌ক, ইউটিউব, মোবাইল ইনস্ট্যান্ট মেসেজ, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইলেকট্রনিকস বিলবোর্ড,  টিকটক, টুইটার ইত্যাদি । ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে  একটি জনপ্রিয় সোশাল মার্কেট ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা
আধুনিক বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং অর্থ উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । মানুষ যে কোন দ্রব্য সামগ্রী কেনার  আগে ইন্টারনেটে  ওই পণ্য সম্পর্কে ধারণা নেয় এবং জানা পরিচয় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে করে তারপর ক্রয় করে। এছাড়াও মানুষ বর্তমান বিভিন্ন দোকানে ঘোরাঘুরি করে মালামাল ক্রয় করে না বরং অনলাইনের মাধ্যমে  বেশিরভাগ কেনাকাটা করে থাকে।
যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি: ফটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফি অর্থ ছবি তোলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা । এখানে আপনাকে ২০০, ৩০০ টাকার ছবির কথা বলছি না । লাখ লাখ টাকার কথা বলছি। ফটোগ্রাফি বর্তমান জগতে এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, প্রতিদিনের ছবি তোলার অভ্যাসটাকে কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেভাবে ইনকাম করবেন সেটাও জেনে রাখুন। মনে করুন  ১০০০ টি  ছবি তুলে বাছাই করলেন

সেখান থেকে ২০০ টি ছবি বাছাই করে ওয়েব সাইটে আপলোড করলেন ।  আপলোড করা  ছবির আপনি মূল্য নির্ধারণ করে দিলেন ।  ছবি ডাউনলোড করলে প্রতিটির মূল্য ০.৫0 ডলার । ১০০ টি ছবি ডাউনলোড করলে মোট মূল্য নির্ধারিত হবে নির্ধারিত হবে দ্বারা 50 ডলার। প্রতিদিন যদি ২০০টি  ছবি থেকে ১০০ টি ছবি ডাউনলোড হয় তবে আপনার প্রতিদিন ইনকাম দাঁড়াবে 50 ডলার যা বাংলাদেেশী টাকায় প্রায় 6০০০ টাকা। মাস শেষে আপনি ইনকাম করতে পারবেন180000 টাকা । 

এটা তো গেল প্রথম দিকের কথা। যদি আপনার ছবির পরিমাণ 1000 থেকে 2000 হয় তাহলে প্রতিদিন আপনার সর্বনিম্ন ইনকাম দাঁড়াবে 12০০ থেকে 24০০  ডলার এবং পর্যায়ক্রমে তা ৩-৪ গুণ বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা যত বৃদ্ধি পাবে আপনার ছবির মান দিন দিন ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং ছবির  মূল্য বাড়তে থাকবে । এছাড়া আপনি একই ছবি দিয়ে আরো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারবেন । 

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ছবিগুলি কিনবে কারা ? যারা ওয়েডিং প্রোজেক্টর কিংবা ফিল্মোগ্রাফি নিয়ে কাজ করে এবং আর্টিকেল রাইটিং, ভিডিও মেকিং, বিজনেস প্রজেক্ট প্রোফাইল করে তারাই মূলত ওয়েবসাইট থেকে  ছবিগুলো ক্রয় করে নিয়ে কাজে লাগায় ।  তারা 5 থেকে 10 ডলার দিয়ে কেনে এবং ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার পর্যন্ত বিক্রি করে । 

এই ছবিগুলি বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকেরা ক্রয় করে থাকে।যেমনঃ আমেরিকা,গ্রেট ব্রিটেন, জাপান,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশের লোকেদের প্রচুর পরিমাণ ছবির দরকার হয়। তারা মূলত ওয়েবসাইট থেকে  ক্রয় করে তা নিজেদের প্রোজেক্টে ব্যবহার করে। 
এখন ধরুন  আপনি কাজ কিভাবে আরম্ভ করবেন। প্রথমে আপনার 20 থেকে 30 হাজার টাকা মূলের একটা অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন লাগবে অথবা একটা ডিজিটাল ক্যামেরা লাগবে। তারপর ইউটিউব থেকে বিনামূল্যে শিখতে হবে, যে কোন কোন ইমেজ এর মাধ্যমে ভালো ছবি তোলা যায়।
 আপনি যদি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন ভালো ছবির কৌশল তাহলে অনেক ধরনের ছবি পেয়ে যাবেন । এরপর ছবিগুলি এডিট করে ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিবেন । ছবি তোলা, ছবি  এডিট করে যেভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায় তা জানা প্রয়োজন। তারপর যখন আপনার ভান্ডারে প্রচুর  পরিমাণ ভালো ছবি মজুদ হবে  আপনি তখন হিসাব খুলে ছবি আপলোড করতে থাকবেন ।  
তাহলে আপনার হিসাব দ্রুত সমৃদ্ধশালী হতে থাকবে। এখন যেসব ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন সেই ভিডিও লিংক ডেসক্রিপশনে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটে হিসাব পরে খুলবেন। প্রথমে ছবিগুলি নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করবেন। ছবি কিভাবে উন্নত করা যায়, ছবিগুলি যখন প্রচুর পরিমাণ মজুদ হবে তখন আপনি ছবিগুলি আপলোড করবেন।

আরো  পড়ুনঃ 

*যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনিঃ  ওয়েব ডেভেলপিং

ওয়েব ডেভেলপিং এর রাস্তায়ও  টাকার খনি আছে ।  ওয়েব ডেভেলপিংকে টাকার খনি না বলে সোনার  খনিও বলতে পারেন। যদি আপনি একজন ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে  দিনে আপনি ২০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরটা সম্পূর্ণই খালি রয়েছে। সামান্য কিছু সংখ্যক হাতে গোনা মানুষ এ রাস্তায় কাজ করছে। যেমন:  ওই দু টি  রাস্তার মতো। কাজটা কঠিন মনে হতে পারে কিন্তু   একেবারে সহজ যদি আপনি সময় ও শ্রম দিয়ে শিখতে পারেন। তাহলে আপনার পুরো জীবন সফল হয়ে যাবে। 




 আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন সেক্ষেত্রে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপিং এর জন্য আপনি একশত ডলার থেকে ৬ শত ডলার ইনকাম করতে পারবেন । কোন কোন ক্ষেত্রে ৩ লাখ থেকে ৫  লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন । ওয়েব ডেভল পিং শিখতে হলে একটি ভালো মানের কম্পিউটার এবং একটি ক্যামেরা থাকা লাগবে। 
কম্পিউটার সমন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে । যদি পর্যাপ্ত জ্ঞান নাও থাকে তাহলে একটি ভালো মানের আইটি ফার্ম থেকে কাজগুলি শিখে নিতে হবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের আইটি  ফার্ম আছে  তারা আপনাকে প্র্যাকটিক্যাল ভাবে শিখিয়ে দিবে।

*  যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনিঃ ভিডিও এডিটিং

এরপর যে কাজটির মধ্যে টাকার খনি রয়েছে সেটি হল ভিডিও এডিটিং । ভিডিও এডিটিং আমার খুব ফেভারিট একটি  কাজ ।  আমার খুব ইচ্ছা আমি একজন ভালো মানের ভিডিও এডিটর হব। আমি মূলত দুইটা কারণে ভিডিও এডিটিং শিখতে চাই  ১ । ফিউচারের সমস্ত কাজের জন্য ভিডিও এডিটরদের ভবিষ্যৎ ভালো ।  ভিডিও মার্কেটিং বড় বড় কাজের জন্য খুব গুরুত্ব পাবে । বড় বড় কোম্পানিগুলি তাদের মালের মার্কেটিংয়ের জন্য ভিডিও এডিটরদের প্রয়োজন হবে ।  আর ভালো মানের ভিডিও এডিটর বাংলাদেশে খুব সামান্য পরিমাণ রয়েছে। সারা বিশ্বে ভিডিও এডিটরদের চাহিদা অনেক বেশি ।
তার ওপর ইউটিউব এ দিন দিন যেভাবে ভিউয়ার এর সংখ্যা বাড়ছে তাতে অন্য কোন কিছু না করেও ভিডিও বানিয়ে মাসে ২-৩ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব । আবার ফেসবুক থেকেও বর্তমান ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যাচ্ছে ।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট যেমন-- আপওয়ারক ,  ফাইভার, ওয়ারডপ্রেস, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি ।

 শুরুতে বাইরের দেশের বায়ারদের ভিডিও এডিটিং করে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায় । ভিডিও এডিটিং এর মধ্যে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একজন ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে হবে।  ভিডিও এডিটর এর জন্য একটা ভালো মানের পিসি দরকার । ভালো মানের কম্পিউটার না হলেও মিডিয়াম মানের একটা পিসি হলে কাজ করতে পারবেন।

 পরবর্তীতে যখন আপনার ভালো আয় হবে তখন একটা ভালো মানের পিসি কিনে নিতে পারবেন। শুরু থেকে আপনি আপনার হাতের কাছেই যা আছে তাই দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েও আপনি ভিডিও করতে পারবেন। মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর জন্য অ্যাপ্স হলো কাইন্ডমাস্টার, বিভা ভিডিও,  ফিলমোরা,  বিভা কার্ড,  ক্যাপ কার্ড ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলি দিয়ে কিভাবে ভিডিও এডিট করা যায় তা  ইউটিউবে সার্চ করলেই অনেক ভিডিও দেখতে  পাবেন।

এটা থেকে শিখে আপনার মোবাইল বা পিসিতে আপলোড  দিলেই ভালো ভিডিও তৈরি হবে। কম্পিউটারে শিফট না হওয়া পর্যন্ত আপনি ভালো মানের ভিডিও এডিট করতে পারবেন না। কম্পিউটারে যে অ্যাপস গুলি দিয়ে ভিডিও এডিটিং করা হয় সেগুলির সাথে আপনাকে পরিচিত হতে হবে। যেমন ক্যাম্পেশিয়া, ফিলমোরা,  এডোবি,  প্রিমিয়ার প্রো ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি ভিডিও এডিটিং শিক্ষার জন্য একটি কোর্স করতে পারেন। তারা আপনাকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিবেন।

 

আপনি ভিডিও এডিটিং এর জন্য ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার   এবং গুরু ইত্যাদিতে কাজের জন্য ৬০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। তবে ছোট ছোট কাজের জন্য ৫০, ১০০ বা ২০০ ডলার দিয়ে থাকে। এটার ভবিষ্যৎ খুব ভালো। চাইলে  ভিডিও এডিটিং দিয়ে আপনার  ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন । 

*যে ১০ টি কাজের রয়েছে টাকার খনি : শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং 

এখন যে কাজটি কথা বলব সেটি হল শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং। এই ট্রেডিং অর্থ উপার্জনের  এক বড় খনি । শেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ আয় করা যায় বাকি কাজগুলির আয়ের টাকা একত্রিত করলেও এই ব্যবসায়ের সমান হবে না। আপনি যদি পেশাগতভাবে একজন বিজনেসম্যান হতে পারেন তাহলে এক ঘন্টায় ৫ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। কিংবা এক মিনিটে ৫০০ ডলার আয় করতে পারবেন। তবে এখানে কিছু শর্ত আছে যা আপনি জেনে নিবেন।
 প্রাথমিকভাবে  ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত প্র্যাক্টিস করতে হবে। এরপর মানসম্মত  একটি কম্পিউটার লাগবে। তৃতীয় হল ভালোভাবে শেয়ার ব্যবসা না শিখে ব্যবসা আরম্ভ  করলে কোন আয় ইনকাম করতে পারবেন না। বরং আপনার অর্থের আরো ক্ষতি হবে। চতুর্থ হলো ধর্মীয় বিষয়। ইসলাম ধর্মের অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ মনে করেন যে ট্রেডিং করাটা হারাম। আবার অনেকে মনে করেন, ট্রেডিং করাটা একেবারে নিষিদ্ধ না হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে জায়েজ আছে।   
আপনি কাছে যদি মনে হয় ট্রেডিং করা নিষিদ্ধ তাহলে আপনি ট্রেডিং করা থেকে বিরত থাকুন। আমরা মনে করি, মুসলিমদের হালাল হারাম মেনে চলা উচিত। তাছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীরা যেমন: হিন্দু, বৌদ্ধ  ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা ট্রেডিং করতে পারেন। ফ্রিতে ট্রেডিং শিখার ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবকে বাছাই করে নিতে পারেন। ইউটিউব সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে কিভাবে আপনি প্রচুর অত উপার্জন করতে পারবেন। 

* যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি : ইউটিউব মার্কেটিং 

ইউটিউব আধুনিক জগতে এমন একটি  মাধ্যম যে  মাধ্যম কাজে লাগিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করে মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় উপার্জন করতে পারবেন। এখন হয়তো মনে করছেন ইউটিউব সম্বন্ধে কিছুই জানিনা। ইউটিউবে কিভাবে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড টাকা ইনকাম করা যায়, এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কি নিয়ে ভিডিও বানাবো ?  তাহলে আমার নিম্নলিখিত আলোচনাটি  মনোযোগ দিয়ে শুনুন ।  
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করে কিছু অসাধারণ ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। যেমন-একটা বিষয়ে আপনি ভালো পারেন সে বিষয়ে  অন্যকেউ আপনার মত পারে না। আর একটা বিষয়ে অন্য কেউ ভালো পারে কিন্তু আপনি সেটা ভালো নাও পারতে পারেন কেউ ভিডিও কনটেন্টের ছবি তৈরি করতে পারে, কেউ ভালো গান  গাইতে পারেন, আবার কেবা খেলাধুলা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে ভালো জ্ঞান রাখে। আবার আপনার বই পড়া পছন্দ কেউবা সাইকেল বা মোটর সাইকেল চালানো শখ থাকতে পারে ।

 এই হবি থেকে আপনি দুই-তিন লক্ষ টাকা মাসে ইনকাম করতে পারেন । বর্তমান মানুষ ভ্রমণ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা হতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। একদিকে ভ্রমণ করা হচ্ছে অন্যদিকে টাকা উপার্জন হচ্ছে। মাছ কাটা, গরুর গোস্ত কাটা, ঝাল মুড়ি বানানোর ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করছে । আবার কেউবা  রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ভিডিও তৈরি করে অর্থ উপার্জন করছে। সুতরাং, আপনি আপনার মনের মত ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করুন তাহলে আপনার ইনকাম আসতে থাকবে। এছাড়া অনেকেই মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করছে
* যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনি কোন কোম্পানি বা ওয়েবসাইটে কোন বিক্রয় যোগ্য মালামাল  যদি বিক্রি করে দিতে পারেন সেই বিক্রির উপর কোম্পানি আপনাকে যে কমিশন বা পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে  তাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। সময়ের ব্যবধানে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে সফলতা অর্জন করছে ।
 যেমন-- ফেসবুক,  টুইটার, ইন্সট্রাগ্রাম, প্রিন্টারেস্টসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কাস্টমারদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে। দ্রব্যটি কি,কেন কিনতে হবে,  এতে ভোক্তাদের সুবিধা কি ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে দ্রব্য সামগ্রী ও সেবা বিক্রি করা হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং উত্তরোত্তর  জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যায়। 

* যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনি : ফেসবুক মার্কেটিং 

ফেসবুক মার্কেটিং হল  একটি যোগাযোগ মাধ্যম  যেখানে ব্যবসায়িক দ্রব্য সামগ্রী এবং সার্ভিসের বিষয়ে  ফেসবুক ইউজারদের  মাঝে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় যাতে আপনার  উৎপাদিত এবং ব্যবহারযোগ্য অন্য সামগ্রী ফেসবুকের  মাধ্যমে জনগণের নিকট পৌঁছে দেয়া যায়। উপস্থাপনার  করার মাধ্যমই হল ফেসবুক মার্কেটিং। এটাকে ফেসবুক  মার্কেটিং এই জন্য বলে এর এর মাধ্যমেসাহায্যে আপনার পণ্য সামগ্রী ও সেবার মান সব মানুষের নিকট পৌঁছে দিচ্ছেন। 




সেটা  কোন ছবি বা ভিডিও বা  গ্রাফিক ভিডিওর মাধ্যমে হতে পারে। ফেসবুক বর্তমান দুনিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। এর সাহায্যে কোটি কোটি মানুষ পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ফেসবুক একটা যোগাযোগের বিশাল বাজার। ফেসবুকের  সাহায্যে নিয়মিত কাজ করলে প্রতিমাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

যে ১০টি কাজে রয়েছে টাকার খনিঃ  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে যোগাযোগের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান কোটি কোটি মানুষ একে অপরের সাথে পরিচিত হচ্ছে। এ প্লাটফর্ম এর সাহায্যে উৎপাদিত পণ্য এবং সেবা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ।  ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এটা একটি ভিন্ন ধরনের বাজার পদ্ধতি । এর সাহায্যেমাধ্যমে গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যায়স্থাপন করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি  শাখা। সামাজিক যোগাযোগ  মার্কেটিং ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জনগণের সাথে ছবি, ভিডিও,  বিভিন্ন তথ্য, স্ট্যাটাস এবং কথোপকথনের মাধ্যমে মনের ভাব আদান-প্রদান করা হয় ।

 এ গুলির মধ্যে অনলাইন মার্কেটিং ব্যাপক জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট, ব্রান্ড  ও সার্ভিস গুলি উন্নয়ন করার জন্য এই মাধ্যম  ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মোবাইল, কম্পিউটার,  ফেসবুক , টুইটার, ইন্সট্রগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনি এই বিষয়ে জ্ঞান,অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

আমাদের  শেষ কথা 

এতক্ষন  আমরা  উপরে বর্ণিত ১০টি বিষয় যা টাকা ইনকামের খনি আপনাদের জানার জন্য আলোচনা করেছি। এখন আপনি কোন রাস্তা বেঁচে নিবেন সেটা আপনার নিজস্ব পছন্দের বিষয। আপনি যদি বুদ্ধিমান হন তবেই  টাকা ভর্তি সাগরের কাছে যাবেন । বাস্তবে অধিকাংশ মানুষ  হাঁটছেন ওই পুকুরের দিকের রাস্তায় । 
আমাদের মধ্যে প্রায় সেন্ট পার্সেন্ট মানুষই ওই পুকুরে যাওয়ার পথে যাতায়াত করছেন এবং সামান্য একটি পুকুর হতে টাকা উত্তোলনের জন্য সবাই মিলে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু সাগরের কাছের  রাস্তায়  মানুষের সংখ্যা কম  অথচ টাকার পরিমাণ বেশি ।  এই ১০টি কাজের মধ্যে থেকে যে কোনো একটির কাজ বেছে নিলে আপনি মাসে এক থেকে দুই লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।  প্রচুর টাকা ইনকামের ১০টি রাস্তার সন্ধান দেখিয়ে দিলাম। 
এখন  আপনি মাসে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেজন্য আপনাকে একটি শর্ত মেনে চলতে হবে। আর তা হলো অধিক পরিমাণ সময় ব্যয় করা অর্থাৎ  সময়, সময় আর সময় । যত বেশি সময় দিবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করবেন । 
উপরের আলোচনা যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমাদের নিত্য নতুন আর্টিকেল এই ওয়েবসাইটে আপলোড করব। আমাদের সাথেই থাকবেন তাহলে বর্ণিত কন্টেন্ট থেকে অনেক বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url