হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি

 হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি


উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেশার) একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ক্ষতি বা অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে। তাই, দ্রুত এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এই প্রবন্ধে আমরা হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়া বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো—হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী করণীয়, ঘরোয়া সমাধান, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি
হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়
উচ্চ রক্তচাপ কী এবং কেন এটি বিপজ্জনক
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ গুলো কি কি
তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে
প্রেসার কমে গেলে করণীয় কি
প্রেসার কমে যায় কেন
ঘরোয়া উপায়ে রক্তচাপ কমানোর পদ্ধতি
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধের নাম কি
আমাদের শেষ বক্তব্য

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হবেঃ

১. শান্ত ও স্থির থাকুনঃ রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে গেলে আতঙ্কিত হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। গভীর শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।

২. রক্তচাপ মাপুনঃ  রক্তচাপ মাপার জন্য sphygmomanometer (BP মেশিন) ব্যবহার করুন। যদি সিস্টোলিক প্রেসার (উপরের সংখ্যা) ১৮০ mmHg বা বেশি এবং ডায়াস্টোলিক (নিচের সংখ্যা) ১২০ mmHg বা বেশি হয়, তাহলে এটি হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস হতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

৩. বসে পড়ুন ও বিশ্রাম নিনঃ হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লে প্রেসার আরও বেড়ে যেতে পারে। আরামদায়ক জায়গায় বসুন এবং চোখ বন্ধ করে শিথিল থাকুন।

আরো পড়ুনঃ

৪. ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিনঃ গভীর শ্বাস নেওয়া রক্তচাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে। ৫ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন, এবং ৫ সেকেন্ডে ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন।

৫. লবণ কম খান ও পানি পান করুনঃ অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৬. অল্প হাঁটুন বা শরীর নড়াচড়া করুনঃ  হালকা হাঁটা বা স্ট্রেচিং করলে প্রেসার কিছুটা কমতে পারে। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না।

৭. পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খানঃ কলা, কমলা, শাকসবজি, দই ইত্যাদি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৮. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুনঃ ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন।

৯. ঠান্ডা পানির স্পর্শ নিনঃ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ, হাত ও পা ধুয়ে নিলে শরীর শীতল হয় এবং রক্তচাপ কিছুটা কমতে পারে।

১০. যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, হাসপাতালে যানঃ  যদি রক্তচাপ খুব বেশি থাকে এবং মাথাব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

উচ্চ রক্তচাপ কি এবং কেন এটি বিপজ্জনক

রক্তচাপ হলো ধমনীর মধ্যে রক্ত প্রবাহের চাপ। যখন এই চাপ অত্যধিক বেড়ে যায়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।

উচ্চ রক্তচাপের ধরণঃ ১. প্রাথমিক (Primary/Essential) হাইপারটেনশন: কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ঘটে।

২. গৌণ (Secondary) হাইপারটেনশন: অন্য কোনো রোগ বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হয়।

উচ্চ রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণঃ  মানসিক চাপ বা উদ্বেগ,বেশি লবণযুক্ত খাবার খাওয়া, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত ওজন,থাইরয়েড সমস্যা বা কিডনি রোগ, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ গুলো কি কি

উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) সাধারণত কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াই থাকতে পারে, তাই একে "নীরব ঘাতক" বলা হয়। তবে, যখন রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:

 মাথাব্যথা – বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর,  চক্কর লাগা বা মাথা ঘোরা, দৃষ্টিতে ঝাপসা দেখা,  বুক ধড়ফড় করা বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন,  বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া,  অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা ,  নাক দিয়ে রক্ত পড়া (দুর্লভ ক্ষেত্রে),  শ্বাসকষ্ট,  বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি।

অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ কোনো লক্ষণ ছাড়াই মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে, যেমন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, বা কিডনি সমস্যা। তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে

তেঁতুল খেলে রক্তচাপ (প্রেসার) কিছুটা কমতে পারে। তেঁতুলে পটাশিয়াম বেশি থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া, এটি প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

তবে, তেঁতুল টক হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে পাকস্থলীর সমস্যা বা দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। আর যদি আপনি রক্তচাপজনিত ওষুধ খান, তাহলে তেঁতুল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

প্রেসার কমে গেলে করণীয় কি

রক্তচাপ (প্রেসার) হঠাৎ কমে গেলে (হাইপোটেনশন) দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। যদি কারও রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় (উদাহরণস্বরূপ, ৯০/৬০ mmHg-এর নিচে), তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

তাৎক্ষণিক করণীয়: শুয়ে পড়ুন এবং পা উঁচু করে থাকুন।  রক্তপ্রবাহ মস্তিষ্কে যেতে সাহায্য করবে।  পর্যাপ্ত পানি পান করুন ,  পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) থেকে রক্তচাপ কমতে পারে। লবণযুক্ত বা চিনি-লবণ মিশ্রিত পানি খান,  এতে দ্রুত রক্তচাপ বাড়তে পারে।  ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা/কফি) পান করুন,  সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ধীরে ধীরে দাঁড়ান,  হঠাৎ উঠে গেলে মাথা ঘুরতে পারে, তাই ধীরে চলাফেরা করুন।

যদি ঘন ঘন প্রেসার কমে যায়: খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন: বেশি করে লবণ ও পানি গ্রহণ করুন। বারবার ছোট ছোট মিল নিন: একবারে বেশি খেলে রক্তচাপ আরও কমতে পারে।খাদ্যতালিকায় প্রোটিন ও লবণাক্ত খাবার যোগ করুন: যেমন: ডিম, দুধ, পনির, স্যুপ ইত্যাদি।ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি ঘন ঘন এমন হয়, তবে ডাক্তার দেখানো জরুরি।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? বারবার মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে।

দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসার খুব কম থাকলেঃ আপনি যদি নিয়মিত প্রেসার কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এটি উপসর্গহীন হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

প্রেসার কমে যায় কেন

রক্তচাপ (প্রেসার) কমে যাওয়ার (হাইপোটেনশন) অনেক কারণ থাকতে পারে। সাধারণ কিছু কারণ হলোঃ  পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন)ঃ শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া, বা বমির কারণে হতে পারে।

 পুষ্টির অভাবঃ শরীরে লবণ বা গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে রক্তচাপ কমতে পারে।আয়রন বা ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

 হৃদরোগ ও রক্তনালীর সমস্যাঃ হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে গেলে রক্তচাপও কমে যায়।ধমনীগুলোতে সমস্যা থাকলে রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চালিত হতে পারে না।

 হরমোনের ভারসাম্যহীনতাঃ থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে রক্তচাপ কমতে পারে। অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা থাকলেও এমন হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ কিছু ওষুধ (যেমন উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, ডায়রেটিক, ডিপ্রেশনের ওষুধ) রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।

 দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা শুয়ে থাকা ঃ হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলে মাথা ঘোরা বা ব্ল্যাকআউট হতে পারে (অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন)।

 সংক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ঃ ইনফেকশন বা শরীরের কোথাও রক্তক্ষরণ হলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যেতে পারে।

 শক (Shock) ঃ হার্ট অ্যাটাক, বড় ধরনের রক্তক্ষরণ বা অ্যালার্জির কারণে হঠাৎ প্রেসার কমে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে প্রচুর পানি পান করুন, পর্যাপ্ত লবণ ও পুষ্টিকর খাবার খান। হঠাৎ উঠে দাঁড়ানোর সময় ধীরে ধীরে উঠুন।

যদি প্রেসার খুব কমে যায় (বিশেষ করে ৯০/৬০ mmHg-এর নিচে) এবং দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অনুভূতি হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার প্রেসার প্রায়ই কমে গেলে বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখানো ভালো হবে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া চিকিৎসা

  রসুন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঁচা রসুন খেলে উপকার পাওয়া যায়। আদা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।  মেথি বীজ ও তুলসীপাতাঃ    তুলসীপাতার রস পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মেথি বীজ গুঁড়ো করে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে পারে।  লেবুর রস ভিটামিন সি রক্তনালীগুলোর স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে থাকা ফ্ল্যাভানয়েড রক্তনালী প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ কমায়। ব্যায়াম ও যোগব্যায়ামঃ  নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে ।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

রক্তচাপ ১৮০/১২০ mmHg বা এর বেশি হয়। তীব্র মাথাব্যথা, বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হয়। অজ্ঞান হওয়ার অনুভূতি হয়। 

চিকিৎসা পদ্ধতি:  ব্লাড প্রেসার কমানোর ওষুধ যেমন ACE ইনহিবিটর, বিটা-ব্লকার, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার ইত্যাদি। রোগীর অবস্থা বুঝে ডাক্তার ইনজেকশন বা হাসপাতাল ভর্তি করার পরামর্শ দিতে পারেন।

জীবনধারায় পরিবর্তন করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুনঃ  লবণ কম খান (দিনে ৫ গ্রাম বা তার কম)। শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খান। ট্রান্সফ্যাট এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

২. নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ  প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করুন। যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন অভ্যাস করুন।

৩. মানসিক চাপ কমানঃ পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। ধ্যান করুন এবং প্রয়োজন হলে কাউন্সেলিং নিন।

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুনঃ ধূমপান ও অ্যালকোহল রক্তনালী সংকুচিত করে এবং রক্তচাপ বাড়ায়।

আরো পড়ুনঃ

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধের নাম কি

উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেশার) কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে, কোন ওষুধ আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত ব্যবহৃত ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে:  ডায়ুরেটিকস (Diuretics), Hydrochlorothiazide (HCTZ), Chlorthalidone, Furosemide

২. বিটা-ব্লকার (Beta Blockers)ঃ Metoprolol, Atenolol, Propranolol

৩. এসিই ইনহিবিটর (ACE Inhibitors)ঃ Lisinopril, Enalapril, Ramipril

৪. এআরবি (ARB - Angiotensin II Receptor Blockers)ঃ Losartan, Valsartan, Telmisartan

৫. ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার (Calcium Channel Blockers)ঃ Amlodipine, Nifedipine, Diltiazem

৬. আলফা-ব্লকার (Alpha Blockers)ঃ Prazosin, Doxazosin

৭. সেন্ট্রাল অ্যাক্টিং ড্রাগ (Central-acting drugs)ঃ Clonidine, Methyldopa (গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ)। 

এই ওষুধগুলোর সঠিক ব্যবহার ও ডোজ শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। আপনি কি নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ  খেয়ে থাকেন তাহলে সেই ঔষধ চালু রাখতে হবে ।

আমাদের শেষ বক্তব্য

উচ্চ রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। তবে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঘরোয়া উপায়, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা যায়। 

যদি রক্তচাপ অত্যন্ত বেশি হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে আপনি কি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আশা করি এখান থেকে অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন আরও অন্যান্য বিষয়ে নতুন নতুন আর্টিকেল জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন তাহলে নতুন নতুন কনটেন্ট সম্বন্ধে জানতে পারবেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url