রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কেন হয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পাঠ করুন। আপনি হয়তো ভাবছেন কেন হিমোগ্লোবিন কমে যায়, কিভাবে প্রতিকার করা যায়। এই বিষয়টি পরিপূর্ণ জানতে চাইলে আমাদের সাথে থাকুন।
আমি হিমোগ্লোবিন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব । আপনি বিস্তারিত জানতে চাইলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কন্টেনটি অধ্যয়ন করুন। তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমার কারণ ও প্রতিকার (সংক্ষেপে) কারণ: আয়রনের ঘাটতি, ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব, দীর্ঘস্থায়ী রোগ (যেমন: কিডনি বা লিভারের সমস্যা), অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ (মাসিক, আলসার, দুর্ঘটনা ইত্যাদি), হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া বা বংশগত রক্তস্বল্পতা ।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিকার: আয়রনসমৃদ্ধ খাবার (যেমন: পালং শাক, লাল মাংস, ডাল, ডিম), ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার (যেমন: দুধ, কলা, ডিম), পর্যাপ্ত পানি পান ও শারীরিক ব্যায়াম ,প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ,, দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে চিকিৎসা গ্রহণ. আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায় কেন
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার (অ্যানিমিয়া) প্রধান কারণগুলো হলোঃ
১. পুষ্টির ঘাটতিঃ লোহিত রক্তকণিকার জন্য প্রয়োজনীয় আয়রনের ঘাটতি: পর্যাপ্ত আয়রন না পেলে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না। ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি: এগুলো রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
২. রক্তক্ষরণঃ অতিরিক্ত ঋতুস্রাব (মহিলাদের ক্ষেত্রে)। গ্যাস্ট্রিক বা আলসার থেকে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচারের ফলে রক্তক্ষরণ।
৩. বিভিন্ন রোগের কারণে ঃ কিডনি সমস্যা (ইরিথ্রোপয়েটিন হরমোন কমে গেলে হিমোগ্লোবিন কমতে পারে)। লিভারের অসুখ, থ্যালাসেমিয়া বা সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, সংক্রামক রোগ (যেমন: যক্ষ্মা, এইচআইভি)। অটোইমিউন ডিজঅর্ডার (যেমন: লুপাস),
৪. হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বা আয়ুষ্কাল কমে যাওয়াঃ হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া (যেখানে রক্তকণিকা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়)। অস্থিমজ্জার সমস্যা (যেমন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বা ক্যান্সার)। হিমোগ্লোবিন কমানোর ঝুঁকিপূর্ণ কিছু কারণ: পর্যাপ্ত আয়রনসমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া। অতিরিক্ত চা-কফি পান করা (যা আয়রন শোষণে বাধা দেয়)। গর্ভাবস্থা (যেহেতু তখন শরীরে রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়)। ধূমপান বা মদ্যপান।
হিমোগ্লোবিন কত হলে শরীরে রক্ত দিতে হয়
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কমে গেলে রক্ত সঞ্চালনের (Blood Transfusion) প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণতঃ পুরুষদের জন্য: ১৩.৫-১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার স্বাভাবিক এবং মহিলাদের জন্য: ১২-১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার স্বাভাবিক, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য: ১১ গ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে হলে অ্যানিমিয়া ধরা হয়।
কখন রক্ত দিতে হয় ?
সাধারণত, হিমোগ্লোবিন ৭ গ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে নেমে গেলে, বিশেষ করে যদি রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় (যেমন: দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট), তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত দেওয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে (যেমন: হার্টের রোগী বা গুরুতর সংক্রমণ থাকলে) ৮-১০ গ্রাম/ডেসিলিটারের মধ্যেও রক্ত সঞ্চালন লাগতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণসমূহ
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া (অ্যানিমিয়া) হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে প্রধান লক্ষণগুলো হলোঃ শারীরিক লক্ষণঃ অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা – স্বাভাবিক কাজ করলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া। শ্বাসকষ্ট – বিশেষ করে হালকা পরিশ্রমেও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথা – পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ায় মাথা ঘুরতে পারে। ত্বক ফ্যাকাশে বা হলুদাভ হওয়া – মুখ, হাত, নখ ও চোখের নিচে ফ্যাকাশে ভাব দেখা যায়। হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া (Palpitations) – হৃৎপিণ্ড দ্রুত বা অনিয়মিতভাবে ধুকপুক করতে পারে। হাত-পা ঠান্ডা অনুভব করা – শরীরে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে। নখ ভঙ্গুর বা চামড়ার রঙ পরিবর্তন – নখ পাতলা বা চামড়ার স্বাভাবিক রঙ পরিবর্তিত হতে পারে। চুল পড়া বা দুর্বল হয়ে যাওয়া – পুষ্টির অভাবের কারণে চুল পড়তে পারে।
মানসিক লক্ষণ: মনোযোগের ঘাটতি ও ভুলে যাওয়া – ব্রেন পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ায়। মেজাজ খিটখিটে হওয়া – হতাশা বা বিরক্তিভাব দেখা দিতে পারে। কিছু লক্ষণ: অস্বাভাবিক খাদ্য ইচ্ছা (Pica) – মাটি, বরফ বা চক ইত্যাদির প্রতি অদ্ভুত আকর্ষণ তৈরি হতে পারে। মুখের কোণে বা জিহ্বায় ক্ষত – বিশেষ করে আয়রন বা ভিটামিন বি১২-এর অভাবে। মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত – যা আরও বেশি হিমোগ্লোবিন কমাতে পারে। যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে একাধিক লক্ষণ দেখা যায়, তবে রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
যেসব খাবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়বে
রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা আয়রন, ভিটামিন বি১২, ফোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এসব খাবার খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে:
১। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারঃ মাংস (বিশেষ করে গরু বা মুরগির মাংস)ঃ লিভার, ডাল, পালং শাক, মটরশুঁটি , টোফু, মটর।
২। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ কমলা, আমলা, স্ট্রবেরি, লেবু, টমেটো।
৩। ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবারঃ মাছ, ডিম, দুধ, দই ।
৪। ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ পালং শাক, কলিজা, শসা, আখরোট।
৫। কিছু পরিপূরকঃ আয়রন সমৃদ্ধ ট্যাবলেট (যদি ডাক্তার পরামর্শ দেন)। এছাড়া, আয়রন শোষণের জন্য ভিটামিন সি সহ খাবার খাওয়া ভালো, যেমন টমেটো বা লেবুর রস খেতে পারেন আয়রন-সমৃদ্ধ খাবারের সাথে।
শরীরের রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয়
শরীরে রক্ত কম হলে (অ্যানিমিয়া) বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কিছু সমস্যা হলোঃ দুর্বলতা ও ক্লান্তি – শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়ায় সহজেই ক্লান্তি অনুভূত হয়। শ্বাসকষ্ট – সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। মাথা ঘোরা ও ঝিমুনি – মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা। হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া – শরীর অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে দ্রুত হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া – রক্তস্বল্পতার কারণে ত্বক এবং ঠোঁট ফ্যাকাশে দেখায়।
হাত-পা ঠান্ডা বা অবশ লাগা – রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে হাত-পা ঠান্ডা বা অবশ লাগতে পারে। চুল পড়া ও নখ ভঙ্গুর হওয়া – পুষ্টির অভাবে চুল পড়তে পারে এবং নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও মনোযোগের অভাব – পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ায় মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
করণীয় ঃ রক্তস্বল্পতা হলে আয়রন, ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। যেমনঃ পালং শাক, কলমি শাক, ডিম, লিভার, মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, কিশমিশ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, লাল চাল, খেজুর, আঙুর । রক্তস্বল্পতা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আয়রন বা অন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করা উচিত।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য সাধারণত আয়রন (লোহা) সমৃদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কিছু জনপ্রিয় আয়রন সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ হলোঃ হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির সাধারণ ঔষধ ও সাপ্লিমেন্টঃ
1. Ferrous Sulfate (ফেরাস সালফেট) – আয়রন ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সাধারণ ওষুধ।
2. Ferrous Fumarate (ফেরাস ফিউমারেট) – সহজে শোষিত হয় এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কার্যকর।
3. Ferrous Gluconate (ফেরাস গ্লুকোনেট) – হালকা আয়রন সাপ্লিমেন্ট, কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
4. Iron Polymaltose Complex (আইরন পলিমল্টোস কমপ্লেক্স) – গ্যাস্ট্রিক কম হয়, সহজে হজম হয়।
5. Folic Acid (ফলিক অ্যাসিড) – আয়রনের সাথে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে হিমোগ্লোবিন দ্রুত বাড়ে।
6. Vitamin B12 Supplements (ভিটামিন বি১২) – রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়ঃ
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার: পালং শাক, কলিজা, ডালিম, বিটরুট, আপেল, খেজুর, ভিটামিন সি: আয়রনের শোষণ বাড়ায়, তাই কমলালেবু, লেবু, টমেটো খাওয়া ভালো। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: ডিম, মাছ, মাংস, দুধ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পরপরই দুধ বা চা-কফি পান করবেন না, এতে আয়রনের শোষণ কমে যায়।
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো শারীরিক সমস্যা বা রক্তস্বল্পতা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি রোগ হয়
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অ্যানিমিয়া (Anemia) রোগ হয়। হিমোগ্লোবিন রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহন করে। যখন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়, তখন শরীরের কোষগুলি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, যার ফলে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন: লোহা, ভিটামিন B12, বা ফলেটের অভাব, রক্তস্রাব (যেমন, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাত)। অস্থি-মজ্জার সমস্যাগুলি, পূর্ণাঙ্গ পুষ্টির অভাব, জিনগত কারণে (যেমন থ্যালাসেমিয়া) । এটি চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করা জরুরি এবং চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া বা অ্যানিমিয়া একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে। এর ফলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমনঃ
১। শক্তির অভাব বা ক্লান্তি: হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়, যা ক্লান্তি বা দুর্বলতার অনুভূতি তৈরি করে।
২। চিন্তা বা অস্থিরতা: হিমোগ্লোবিনের অভাব মানসিক ও শারীরিকভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা উদ্বেগ বা অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
৩। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা: অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে, বিশেষত শারীরিক পরিশ্রমের সময়।
৪। ত্বক বা ঠোঁটের রঙ ফিকে হয়ে যাওয়া: হিমোগ্লোবিনের অভাবে ত্বক ও ঠোঁটের রঙ ফিকে বা পলকে যেতে পারে।
৫। মাথাব্যথা ও ভারমুক্তি: অক্সিজেনের অভাবে মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরা অনুভূতি হতে পারে।
৬। হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া: শরীর অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য হৃদস্পন্দন দ্রুত হতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
এতক্ষন আমরা রক্তে হিমোগ্লোপিনের হাতি কেন হয় এবং এর প্রতিকার কি পরিচয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অধ্যয়ন করুন।
আরো নতুন নতুন বিষয় জানতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখে থাকি। তাই আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url