আপনার কিডনি কি ভালো আছে, কিডনি ভালো রাখার উপায়



আপনার কিডনি কি ভালো আছে, কিডনি ভালো রাখার উপায়




মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। এটি রক্ত পরিশোধন, বর্জ্য অপসারণ এবং পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কাজ করে। কিন্তু আমাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার ধরন এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত কারণে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কিডনির সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা কঠিন, তাই সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

এই প্রবন্ধে আমরা কিডনির কাজ, সুস্থ কিডনির লক্ষণ, কিডনি রোগের কারণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার কিডনি ভালো রাখার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং কিডনি সমন্ধে সচেতন হোন।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ আপনার কিডনি কি ভালো আছে, কিডনি ভালো রাখার উপায়

আপনার কিডনি কি ভালো আছে, কিডনি ভালো রাখার উপায়

কিডনির কাজ ও গুরুত্ব

আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি রোগের কারণসমূহ

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

কিডনি রোগীদের খাবার কেমন হওয়া উচিত

অসুস্থ কিডনি সুস্থ করার উপায়

কিডনি ভালো রাখে এমন দশটি খাবার
আমাদের শেষ কথা

আপনার কিডনি কি ভালো আছে,  কিডনি ভালো রাখার উপায় 

কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, তবে কিডনির কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত লবণ কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে, তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। বেশি ফল, সবজি, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ খান এবং প্রোটিন ও ফ্যাট নিয়ন্ত্রিত রাখুন। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তাই নিয়মিত চেকআপ করুন। এগুলো কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।  প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অতিরিক্ত পেইনকিলার কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা নাশক ঔষধ খাবেন না। বিশেষ করে যদি পরিবারে কিডনি সমস্যার ইতিহাস থাকে তাহলে ডাক্তারের ফলোআপে থাকার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ

কিডনির কাজ ও গুরুত্ব

কিডনি দুইটি শিমের মতো দেখতে অঙ্গ, যা পেটের পেছনে মেরুদণ্ডের দুপাশে অবস্থিত। এর মূল কাজ হলোঃ

১। রক্ত পরিশোধনঃ কিডনি প্রতিদিন প্রায় ৫০ গ্যালন রক্ত ফিল্টার করে, বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়।

২। পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা: কিডনি শরীরে সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখে।

৩। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ: কিডনি রেনিন নামক একটি হরমোন তৈরি করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৪।  হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা: কিডনি ইরিথ্রোপয়েটিন (EPO) নামক হরমোন উৎপাদন করে, যা রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

৫। অ্যাসিড-বেস ভারসাম্য বজায় রাখা: শরীরে অম্ল-ক্ষার মাত্রা ঠিক রাখতে কিডনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

অনেক সময় কিডনির রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ প্রকাশ করে না। তবে কিছু লক্ষণ দেখে আপনি কিডনি সমস্যার পূর্বাভাস পেতে পারেন।

১. প্রস্রাবের পরিবর্তন:প্রস্রাবের রং গাঢ় বা ফেনাযুক্ত হওয়া ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন হওয়া,প্রস্রাবে রক্ত বা দুর্গন্ধ থাকা।

২. শারীরিক দুর্বলতা ও অবসাদ: সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করা, মনোযোগের ঘাটতি, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

৩. শরীরে ফোলা বা ওজন বৃদ্ধি: চোখের নিচে ফোলা   পায়ের গোড়ালি বা হাতের আঙুল ফুলে যাওয়া

৪. উচ্চ রক্তচাপ:কিডনি যদি ঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীরে সোডিয়াম জমা হয়, যা উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে।

৫. ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি:কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য বের করতে না পারলে ত্বকে ফুসকুড়ি ও চুলকানি দেখা দিতে পারে।

৬. ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব:কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে যায়, যা ক্ষুধামন্দা এবং বমির অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

কিডনি রোগের কারণসমূহ:কিডনি রোগের প্রধান কারণগুলো হলো:

১. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস:উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনির রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ধীরে ধীরে কিডনি বিকল করে দেয়।

২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং এর কার্যক্ষমতা কমে যায়।

৩. পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন):যথেষ্ট পানি না খেলে কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টারিং করতে পারে না, ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।

৪. ওষুধের অপব্যবহার:অনেক ব্যথানাশক ওষুধ (NSAIDs), স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

৫. ধূমপান ও মদ্যপান:ধূমপান ও অ্যালকোহল কিডনির রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা ধীরে ধীরে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করে।

৬. কিডনির পাথর ও সংক্রমণ:বারবার কিডনিতে সংক্রমণ বা পাথর হলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

কিডনিকে সুস্থ রাখতে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজনঃ

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, যাতে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে।

২. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুনঃ শাকসবজি, ফলমূল ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খানল,বণ ও চিনি কম খানপ্র, ক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৩. রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন নিয়মিত ব্যায়াম করুনসুগার ও ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করুন।

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন,ধূমপান ত্যাগ করুনঅ্যালকোহল গ্রহণ কমান।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিনপ্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান এবং মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।

৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুনপ্রতি ছয় মাস বা এক বছর অন্তর কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করান।

কিডনি রোগীদের খাবার কেমন হওয়া উচিত

কিডনি রোগীদের খাবার অবশ্যই সতর্কতার সাথে বেছে নেওয়া উচিত, যাতে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক দেওয়া হলোঃ

১. প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ: খুব বেশি প্রোটিন খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে, তাই পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া জরুরি। সঠিক উৎস: ছোট মাছ, ডিমের সাদা অংশ, মুরগির বুকের মাংস (কম পরিমাণে)।এড়িয়ে চলুন: বেশি পরিমাণে গরু বা খাসির মাংস, প্রসেসড মিট, ডাল বেশি পরিমাণে।

২. লবণ কম খাওয়া: অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

বিকল্প: লবণহীন বা কম লবণের খাবার খান, রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করুন।

এড়িয়ে চলুন: ফাস্ট ফুড, চিপস, আচার, প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed food)।

৩. পটাশিয়াম ও ফসফরাস নিয়ন্ত্রণ: কিডনি ভালোভাবে কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম ও ফসফরাস জমতে পারে, যা ক্ষতিকর।কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার: আপেল, পেয়ারা, লাউ, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি।

এড়িয়ে চলুন: কলা, কমলা, আলু, টমেটো, শুকনো ফল, বাদাম, চকলেট, দুগ্ধজাত খাবার বেশি পরিমাণে।

৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পানি পান করতে হবে।

বেশি পানি খেলে কিডনির কার্যকারিতা কম থাকলে ফোলাভাব ও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।

৫. চিনি ও চর্বি নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস ও স্থূলতা কিডনি রোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে। ভালো চর্বি: অলিভ অয়েল, বাদামের অল্প পরিমাণ তেল।

এড়িয়ে চলুন: ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত মিষ্টিজাত খাবার, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার।

৬. ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ: ভিটামিন বি ও সি যুক্ত খাবার বেশি উপকারী। ভালো উৎস: টক জাতীয় ফল (যেমন— আপেল, লেবু), শাকসবজি (কম পটাশিয়ামযুক্ত)।

সংক্ষেপে খাদ্যতালিকা:  খেতে পারবেন:

 লবণ কম খাবার

 পরিমিত প্রোটিন (ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগি)

 কম পটাশিয়ামযুক্ত শাকসবজি

 আপেল, পেয়ারা, লাউ

 অলিভ অয়েল বা কম তেলে রান্না

 এড়িয়ে চলুন: বেশি লবণ, বেশি প্রোটিন (গরু, খাসি, অতিরিক্ত ডাল, কলা, কমলা, টমেটো, আলু,  ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া।

 কিডনি রোগীদের খাবারের ব্যাপারে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ খাবারের পরিমাণ ও ধরন রোগীর অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।

অসুস্থ কিডনি সুস্থ করার উপায়

কিডনি সুস্থ রাখার জন্য সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যদি কিডনি ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে থাকে, তাহলে তা পুরোপুরি সুস্থ করা সবসময় সম্ভব নয়, তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত করা যেতে পারে এবং অবস্থা খারাপ হওয়া রোধ করা যায়

১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুনঃ লো-সোডিয়াম ডায়েট: লবণ কম খাওয়া জরুরি, কারণ অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ: বেশি প্রোটিন গ্রহণ কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ করুন।পটাশিয়াম ও ফসফরাস নিয়ন্ত্রণ: কলা, কমলা, টমেটো, দুধ, চিজ ইত্যাদি কম খেতে হবে, কারণ এগুলো কিডনির সমস্যা বাড়াতে পারে।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনির ফিল্টারেশন ভালো হয় এবং টক্সিন বের হয়ে যায়। তবে যদি কিডনি ফেইলিওর বা ওয়াটার রিটেনশন থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি পান করুন।

৩. রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করুনঃ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনি রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। নিয়মিত রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন এবং ওষুধ সঠিকভাবে নিন।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন ও ব্যায়াম করুনঃ অতিরিক্ত ওজন কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা জরুরি। হালকা ব্যায়াম, হাঁটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি কিডনির জন্য ভালো।

৫. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুনঃ ধূমপান ও অ্যালকোহল কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং রক্তপ্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করে।

৬. কিডনির জন্য ক্ষতিকর ওষুধ এড়িয়ে চলুনঃ  ব্যথানাশক ওষুধ (NSAIDs) যেমন ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ নিনঃ কিডনির সমস্যা থাকলে নিয়মিত কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করান (Creatinine, eGFR, Urine Test ইত্যাদি)। নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট ও চিকিৎসা নিন। আপনার কিডনি যদি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তবে চিকিৎসা হিসেবে ডায়ালাইসিস বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট লাগতে পারে। তাই আগেভাগেই সচেতন হওয়া এবং কিডনি সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ

কিডনি ভালো রাখে এমন দশটি খাবার

ভালো থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে এমন ১০টি খাবার দেওয়া হলো, যা শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ

১. বাদাম ও অ্যালমন্ডঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও স্ট্রেস কমায়।

২. ডার্ক চকলেটঃ এতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা মানসিক চাপ কমায়। মেজাজ ভালো রাখে ও শক্তি বাড়ায়।

৩. টক দই (গ্রিক ইয়োগার্ট)ঃ প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজমশক্তি ভালো রাখে। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে, হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো।

৪. ডিমঃ প্রোটিন, ভিটামিন বি১২ ও কোলিন সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৫. ওটস ও চিয়া সিডঃ ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হার্টের জন্য উপকারী।দীর্ঘক্ষণ শক্তি দেয় ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৬. সবুজ শাক-সবজি (পালং শাক, ব্রকলি)ঃ আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।

৭. মাছ (স্যামন, টুনা, ইলিশ)ঃ  ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্ক ও হার্টের জন্য ভালো। মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৮. ফল (আপেল, কলা, বেরি, কমলা)ঃ ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ত্বক উজ্জ্বল রাখে।

৯. মধু ঃ  প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ও এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। গলা ব্যথা কমায় ও হজমশক্তি ভালো রাখে।

১০. গরম পানি ও লেবুঃ শরীরকে ডিটক্স করে ও হজমশক্তি ভালো রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ ও মন ভালো থাকবে।

আমাদের শেষ মতামত 

কিডনি সুস্থ রাখার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরিমিত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং সঠিক জীবনযাত্রা অনুসরণ করে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিডনির যেকোনো সমস্যা শুরুতেই ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয়। তাই কিডনির প্রতি যত্নশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কিডনি কি ভালো আছে? যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে এখনই সচেতন হোন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান। আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পাঠ করুন তাহলে কিডনির অনেক কিছু জানতে পারবেন। আরো নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url