সব ওষুধের দাদা নাম তার আদা-আদার যত গুনাগুন
সব ওষুধের দাদা নাম তার আদা-আদার যত গুনাগুন
সব ওষুধের দাদা নামটি তার আদা -আদার যত গুনাগুন এই বিষয়ে আমি আজ আপনাদের সামনে আদার যত গুনাগুন এবং উপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি আধা সম্বন্ধে যতটুকু জানেন তার চেয়েও বেশি জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর।
হ্যা প্রিয় পাঠক, আপনি ভাবছেন আদার আবার কি গুনাহগুণ আছে। সেই বিষয়ে আমি বিস্তারিত কথা বলব। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি পাঠ করবেন। তাইলে আদার উপকারিতা সম্বন্ধে জানতে পারবেন । চলুন শুরু করা যাক, আমাদের সাথেই থাকুন।
সব ওষুধের দাদা নাম তার আদা-আদার যত গুনাগুন
আদা কি, এর পুষ্টিগুনই বা কি
আদার যত ওষুধি গুণ
আদার খাওয়ার উপকারিতা
আদার যত ভেষজ গুণ
আদা খাওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি
আদা সকল রোগ নিরাময়ে দাদা
সব ওষুধের দাদা নাম তার আদা-আদার যত গুনাগুন
আদা এক অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদান, যেটি হাজারো রোগের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। ঠান্ডা-কাশি, গলা ব্যথা, হজমের সমস্যা, বমিভাব, গাঁটের ব্যথা এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও আদার জুড়ি নেই। এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা শরীরকে রাখে চাঙা ও রোগমুক্ত। তাই বলা হয়, "সব ওষুধের দাদা, নাম তার আদা।"
আদা কি, এর পুষ্টিগুনই বা কি
আদা একটি বহুল ব্যবহৃত মসলা, যা শুধুমাত্র স্বাদ বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতাও এনে দেয়। সংক্ষেপে আদার পুষ্টিগুণ নিচে তুলে ধরা হলোঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: আদায় থাকা জিনজারল নামক উপাদান শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল দূর করে। বিরোধী প্রদাহ: এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গাঁটে ব্যথা ও বাতের জন্য উপকারী।
আরো পড়ুনঃ
হজমে সহায়ক: আদা হজম শক্তি বাড়ায়, গ্যাস ও বমিভাব কমায়। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: ঠান্ডা-কাশিতে আদা উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এই কারণেই আদাকে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও গণ্য করা হয়।
আদার যত ওষুধি গুণ
আদা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ যা বহু রোগে উপকারী। সংক্ষেপে আদার ওষুধি গুণগুলো হলোঃ বদহজম দূর করে – আদা হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস কমায়। সর্দি-কাশিতে উপকারী – ঠান্ডা-কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে আদা কার্যকর। ব্যথা উপশমে সাহায্য করে – বিশেষ করে মাথাব্যথা, পেটব্যথা ও জয়েন্টের ব্যথায় আদা উপকারী। বমিভাব কমায় – গর্ভকালীন কিংবা ভ্রমণজনিত বমিভাব দূর করতে আদা ভালো কাজ করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – আদা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা দেহকে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল উন্নত করে – এতে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এইসব কারণে আদা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে দৈনন্দিন জীবনে খুবই উপকারী।
আদার খাওয়ার উপকারিতা
আপনি আগে শুনেছেন আদা একটি ভেষজ মসলা জাতীয় উদ্ভিদ। আদার অনেক স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। আদাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়া,ম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়া্ম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ইওসি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট এবং এন্টি- ইনফ্লামেটরি এজেন্ট। নিচে আমরা আদার উপকারিতা সম্বন্ধে আলোচনা করব।
১। হজমে সহায়তা করেঃ বদ হজম থেকে রক্ষা পেতে আদা খুব সহায়ক।
২। পেটের সমস্যাদূর করেঃ নানারকম সমস্যা দূরীভূত করতে আধা যথেষ্ট সহযোগিতা করে। পেট খারাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘরোয়া মাধ্যমে আদা খাওয়া যায় পেট খারাপের জন্য উপযোগী। গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম দূর করে।
৩। বমি বন্ধ করেঃ প্রতিটি গর্ভবতী মায়েরই বমি বমি ভাব হয় পরিমাণ মতো আদা খেলে বমি প্রতিরোধ করে।
৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আদা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫। ব্যথা-প্রশম করেঃ আর্থাইটিস ও মাংসপেশির বেদনায় আদা খুবই উপকারী এবং সহায়ক।
৬। রক্ত চলাচলে সাহায্য করেঃ নিয়মিত আদা খেলে শরীর রক্ত চলাচল পরিষ্কার হয়ে যায়।
৭। ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়ঃ কয়েকটি গবেষণায় থেকে জানা গেছে আধা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে এবং প্রতিরোধ করে।
৮। সর্দি কাশি কমায়ঃ নিয়মিত আদা খেলে ঠান্ডা জনিত কারণে সর্দি কাশি হলে তার উপশম হয়।
৯। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ আদা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
১০। রক্তে কোলেস্টেরল কমায়ঃ আদা আমাদের শরীরের যেসব খারাপ রক্ত আছে সেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহযোগিতা করে।
১১। মাসিক ব্যথা উপশম হয়ঃ মহিলাদের প্রতি মাসেই একটা নির্দিষ্ট সময়ে মাসিকের ব্যথা শুরু হয়। সেই ব্যথা কমাতে আদা বেশ কার্যকরী।
১২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখেঃ রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। তাই আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১৩। এলার্জি প্রতিরোধ করেঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের এলার্জি হতে পারে আদা নিয়মিত খেলে এলার্জি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
১৪। ওজন কমায়ঃ আদা মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
১৫। ত্বকের সমস্যা দূর করেঃ আমাদের শরীরে ত্বকে চর্ম রোগ হতে পারে। সেগুলি দূর করতে আধা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
১৬। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ আদাতে এমন কিছু উপাদান আছে যা যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
১৭। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ নিয়মিত আদা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
১৮। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করেঃ আদা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে করে।
১৯। এন্টি অক্সিডেন্ট গুণঃ আদার মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণ যা শরীরের খারাপ টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
২০। আদা দাঁতের সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত আদা খেলে মুখের স্বাস্থ্য এবং দাঁতের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
আদার যত ভেষজ গুণ
আদা একটি জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান, যার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। সংক্ষেপে আদার ভেষজ গুণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো: ১। জয়েন্ট ও মাংসপেশীর ব্যথা উপশমে — আদা প্রদাহ প্রতিরোধে কার্যকর, যা বাত বা অন্যান্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ২। হজমে সহায়ক — আদা পেটের গ্যাস, বদহজম ও বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। ৩। সর্দি-কাশি উপশমে — ঠান্ডা, কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে আদা খুবই উপকারী। ৪। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে — আদাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫। রক্ত চলাচল উন্নত করে — এটি রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে এবং হার্টের সুস্থতা রক্ষা করে। ৬। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক — আদা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। ৭। বমি ও মর্নিং সিকনেস কমায় — বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের বমি ভাব কমাতে আদা খুব কার্যকর। এইসব কারণে আদা প্রাচীনকাল থেকে নানা ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আদা খাওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি
আপনি হয়তো ভাবছেন আধা ঘার নিয়ম তো আমরা জানি এ আবার কি নতুন নিয়ম বলবেন। হ্যাঁ প্রিয় পাঠক আমরা দেখার কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, তাহলে আদা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা বেশি পাবেন। আদা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় এর কোন ধারাবাজার নিয়ম নাই তবে আদার থেকে অধিক উপকারিতা পেতে হলে কাচা আদা চিবিয়ে খাওয়া অতি উত্তম।
* খাওয়ার রুচি বাড়াতে চাইলে লবন মিশিয়ে কাঁচাদা ভিডিও খাওয়া যায় এতে রুচি বাড়বে।
* সর্দি কাশি কমাতে হলে সকাল সন্ধ্যা আধার সাথে আদার রসের সাথে লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ এক গ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি কমে যায়। এছাড়া আদার গুড়া আমলকির গোড়া ও মধু একসঙ্গে মিশ্রিত করে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার যা হিসাবে পান করা যায় এতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
* পেটে যদি অধিক পরিমাণ অ্যাসিডিটি হয় এবং বদহজম হয় তাহলে আদার রসের সঙ্গে জোড়ার গোড়া এক গ্লাস পানিতে সংমিশ্রণ করে খেলে বদহজম দূরীভূত হবে।
* মেয়েদের মাসিকের ব্যথা দূর করতে হলে এক টুকরা আদার সাথে এক গ্লাস গরম পানির সংমিশ্রণ করে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে এবং সেই পানি পান করলে মাসিকের ব্যথা উপশম হবে।
কাঁচা আদা খেলে কি হয়
আদা একটি শিকড় জাতীয় ভেষজ ঔষধি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। খালি পেটে কাঁচা আদা খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় সেগুলি হলো, খালি পেটে কাঁচা আদা খাওয়া কমাতে ও হজমে উন্নতি করতে বেশ স্বাস্থ্য উপকার করেছে। আপনি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা আদা অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারেন। অল্প পরিমাণ আদা ব্যবহার করে বেশি পরিমাণ উপকার পাওয়া যায়। এক টুকরো কাঁচা আদার মূল নিন, আবদার খোসা ছড়িয়ে ছোট টুকরো টুকরো করু্ দুই থেকে তিন কাপ পরিমাণ পানি ফুটিয়ে আদা টুকরা গুলি পানির মধ্যে দিন, তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট সিদ্ধ করা করে নিন, এবার আদার টুকরা গুলি থেকে নিয়ে ঠান্ডা হওয়ার পর পানি পান করে বিশাল উপকার পাবেন।
পবিত্র কুরআন ও হাদিসে আদার বর্ণনা
পবিত্র কোরআন ও হাদীসে আদা (ginger) সম্পর্কে কিছু উল্লেখ রয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় আদা একটি মূল্যবান ও উপকারী খাদ্য উপাদান। নিচে কোরআন ও হাদীসের আলোকে আদার বর্ণনা তুলে ধরা হলোঃ পবিত্র কোরআনে আদার উল্লেখঃ
আদা (ginger) সম্পর্কে সরাসরি উল্লেখ রয়েছে সূরা দাহর (সূরা ৭৬), আয়াত ১৭-এ: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ "তাদেরকে সেখানে পান করানো হবে এমন এক পানীয়, যাতে মিশ্রিত থাকবে আদার নির্যাস।"— (সূরা আদ-দাহর, ৭৬ঃ ১৭)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, জান্নাতবাসীদের জন্য আদা মিশ্রিত এক ধরনের সুস্বাদু পানীয় থাকবে। এটি আদার মর্যাদা ও উপকারিতা বোঝাতে ইঙ্গিত দেয়।
হাদীসে আদাঃ সহীহ হাদীসে আদা (ginger) সম্পর্কে সরাসরি বর্ণনা পাওয়া যায় না, তবে আদা সে যুগে ব্যবহৃত হতো এবং বিভিন্ন ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর উপকারিতা বলা হয়েছে। ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাবিদ্যা "তিব্বু নববী" বা "নবীজির চিকিৎসা পদ্ধতি" তে আদার ব্যবহার উল্লেখ রয়েছে।
ইবনু কাইয়্যিম (রহ.) তার বিখ্যাত বই "আত-তিব্বু আন-নববী" (তিব্বুন নববী)-তে আদাকে উপকারী ভেষজ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আদা হজম শক্তি বাড়ায়, ঠান্ডা দূর করে এবং পেটের সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আদা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী ভেষজ উপাদান যা কোরআনে উল্লেখিত এবং ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী এর ব্যবহার রয়েছে। কুরআনে আদার উল্লেখ এটি ব্যবহারযোগ্য এবং পবিত্র বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে, যা মানুষকে উপকারে আসে দুনিয়াতেও এবং জান্নাতেও।
সকালে খালি পেটে আদা খেলে কি হয়
আপনি ভাবছেন খালি পেটে কি আদা খাওয়া যায়। হ্যাঁ খালি পেটে আদা খাওয়ার গুনাবলি আমি এখন আলাপ করব আলোচনা করব। সকালে খালি পেটে আধা পানি খাওয়া খুব ভালো অভ্যাস। এটা শরীরের কার্যের ক্ষমতা বাড়ায়, দেহের পানি চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করে, খালি পেটে আদা পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, এসিডিটি কমে যায়, পানি শূন্যেতার ঝুঁকি হ্রাস পায়, তকের স্বাস্থ্য সতেজ হয়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা অনেকটা কষ্ট লাগব হয়। এক্ষেত্রে আধা জল খাওয়ার সাথে কাঁচা হলুদ মিশ্রিত দুগ্ধ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আদা , কালোজিরা এবং মধু একসাথে খেলে কি হয়
আদা কালোজিরা এবং মধু একসঙ্গে খেলে বহুবিধ উপকারিতা পাওয়া যায়। প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা উপাদান আছে এবং যথেষ্ট স্বাস্থ্য উপযোগী হিসাবে প্রমাণিত। আপনি যদি সাদা কালোজিরা এবং মধু একসঙ্গে খান তাহলে আপনার শরীর থেকে অনেক রোগ দূরীভূত হবে।
১। পাচনতন্ত্র ভালো রাখেঃ আধা কালো জোড়া এবং মধু মিশ্রিত করলে পাচন প্রক্রিয়া উত্তম থাকে। এগুলি পেটের এসিডিটি কম্বল এবং গ্যাস সমস্যা দূরীভূত হয়।
২। হজম শক্তি উন্নত করেঃ আদা হজম সংক্রান্ত সমস্যাবলির সমাধান করে, এসিডিটি কমায়, বদহজম সমস্যার হ্রাস করে। সকাল বেলা আদা কালোজিরা ও মধু খালি পেটে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ
৩। সর্দি কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধ করেঃ আদা মধু ও কালোজিরা প্রদাহ নাশক এবং ঠান্ডা ও সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে।
৪। ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ আদা কালোজিরা মধু শরীরের চর্বি। গলাতে সাহায্য করে এর ফলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কারণ সবার জন্য সব কাজ চালানো যায় না।
আদা খাওয়ার ক্ষতিগুলি জানুন
২. রক্তপাতের ঝুঁকিঃ আদা রক্ত তরল করতে সাহায্য করে। তাই যারা রক্তপাতজনিত রোগে ভোগেন বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ (যেমন: ওয়াফারিন, অ্যাসপিরিন) খান, তাদের জন্য আদা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এতে রক্তপাতের আশঙ্কা বাড়ে।
৩. রক্তচাপ হ্রাসঃ আদা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে যাদের রক্তচাপ আগে থেকেই কম, তাদের জন্য অতিরিক্ত আদা খাওয়া মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. গর্ভবতী নারীদের জন্য সতর্কতাঃ গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আদা খাওয়া গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে। তাই গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আদা গ্রহণ না করাই ভালো।
৫. অ্যালার্জিঃ কিছু মানুষের শরীরে আদা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: চুলকানি, র্যাশ, চোখে পানি পড়া ইত্যাদি।
৬. মুখে জ্বালাপোড়া ও ডায়রিয়াঃ অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে মুখে বা গলায় জ্বালাপোড়া এবং পাতলা পায়খানা হতে পারে।
৭। ডায়রিয়া ঝুকিঃ অতিরিক্ত আদা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে এটা। তাই পরিমিত আদা প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।
আদা উপকারী হলেও, যেকোনো খাবারের মতোই তা পরিমাণমতো খাওয়াই শ্রেয়। যদি আপনি কোনো রোগে ভুগে থাকেন বা নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করেন, তবে নিয়মিত আদা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমাদের শেষ বক্তব্য
আমি আমি আপনাদের সামনে এই ওয়েবসাইটে আবার যত গুনাগুন আধার যত গুনাগুন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা নতুন নতুন কনটেন্ট লিখে এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। আপনি সেগুলি জানার জন্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url