এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের আর্টিকেলে আমরা বাতজ্বর কেন হয় এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা কি কি কারণে বাতজ্বর হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাত জ্বর হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে জানুন
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর বাদ জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বিরল তবে এটি একেবারে অসম্ভব নয়। বাতজার মূলত স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ঘটে যা প্রায় গলা ব্যথার পরবর্তী জটিলতা হিসেবে দেখা দেয়। তাই বলা যায় না এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে। তবে এন্টিবায়োটিক সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে বা অসম্পূর্ণ কোর্সের কারণে স্ট্রেপটোকক্কাস সংক্রমণ পুরোপুরি নির্মূল না হলে ইমিউন সিস্টেম অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বাতজ্বরের লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
কিছু এন্টিবায়োটিক বিশেষত পেনিসিলিন বা সুলফা ভিত্তিক ওষুধ শরীরের অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া ট্রিগার করতে পারে যা বাত জ্বরের মত লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে। এটি সাধারণত ওষুধের এলার্জি বা হাইপারসেন্সিভিটির কারণে ঘটে। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া শরীরের জয়েন্ট ও ত্বক আর হার্টের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। এন্টিবায়োটিক সেবনের আগে ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
যদি কোন ব্যক্তি এন্টিবায়োটিক সেবনের পরে জয়েন্টে ব্যথা এবং উচ্চজ্বর বা ক্লান্তি অনুভব করেন তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক নির্ণয়ের মাধ্যমে জানা যাবে এটি বাতজ্বর নাকি অন্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। চিকিৎসা শুরু না করলে বাতজ্বর দীর্ঘমেয়াদে হৃদযন্ত্র বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতি করতে পারে। সঠিক নির্দেশনা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর প্রধান উপায়।
বাতজ্বর কিভাবে নিরাময় হয়
বাত্য নিরময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগ সনাক্ত করার পরপরই চিকিৎসা শুরু করতে হয়। তারপরও অনেকের অজানা যে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে। তাদের জন্য একটাই সমাধান সেটা পেনিসিলিন বা সম্মানের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে স্ট্রেপটোকক্কাস নির্মূল করার মাধ্যমে তা বুঝা যেতে পারে বাতজ্বর হতে পারে কিনা। চিকিৎসার প্রথম ধাপে ব্যথায় এবং জ্বর কমানোর জন্য অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টারি ওষুধ যেমন অ্যাসিপিরিন বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা হয় এ সময় রোগীকে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হয় এবং শারীরিক পরিশ্রম বেড়াতে হয়।
বাত জ্বরের পুনরাবৃত্তি রোদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা অপরিহার্য। স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পেনিসিলিন ইঞ্জেকশন বা ট্যাবলেটের কোর্স দেওয়া হয়। এ চিকিৎসা পাশ থেকে দশ বছর রোগীর বয়স অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ধরে চালানো হয়। পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে কার্ডিওলজিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলতে থাকে।
বাদরা থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভে সুষম খাদ্য এবং সঠিক জীবনধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোগীকে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে উৎসাহিত করা হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ রোগের পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়ক। সময়মতো চিকিৎসা এবং সচেতনতা বাতজ্বর নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বাতজ্বর থেকে মুক্তির উপায় কি
বাতজ্বর থেকে মুক্তির প্রথমধাপ প্রাথমিক চিকিৎসা অবস্থায় রোগ সনাক্ত করা এবং চিকিৎসা শুরু করা। যদি গলা ব্যথা বা স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণের কোন লক্ষণ দেখা যায় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী। সঠিক এন্টিবায়োটিক বিশেষত পেনিসিলিন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে বাতজ্বর জটিলতা ধারণ করতে পারে না এবং হৃদপিন্ডের ক্ষতির ঝুঁকি কমে যায়।
বাতজ্বর থেকে মুক্তি নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। নিয়মিত পেনিস ইনজেকশন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় এবং এই ট্যাবলেট কয়েক বছর চালিয়ে যেতে হয় বিশেষ করে যদি রোগীর হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ডাক্তারি পরামর্শ রোগীর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের সহায়ক।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ বাতজ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। রোগীকে এবং মানসিক বিশ্রামে রাখা এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোগ মুক্তির পরেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
বাতজ্বর কত দিনে ভালো হয়
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে ভাজ্য আরেকটি প্রধান জনিত রোগ যা সাধারণত গ্রুপে স্ট্রেপটোকক্কাল ইনফেকশন থেকে সৃষ্ট হয়। এই রোগটি হৃদপিণ্ড এবং জয়েন্ট ত্বক এবং স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। বাতজ্বর ভালো হতো সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। তবে চিকিৎসার সময় কাল রোগের শারীরিক অবস্থা এবং রোগের তীব্রতা আর চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
আর পড়ুনঃ বড়দের নিমোনিয়া রোগের লক্ষণ
বাতজ্বরের চিকিৎসায় মূলত এন্টিবায়োটিক প্রধাণাসক ওষুধ এবং দীর্ঘমেয়াদী পেনিসিলিন থেরাপি ব্যবহার করা হয় চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যা কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করা হয় সংক্রমণ দূর করার জন্য। পাশাপাশি প্রদাহ কমাতে নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ ব্যবহার করা হয়। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে এক থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের জটিলতা থাকলে চিকিৎসার সময়কাল আরো দীর্ঘ হতে পারে।
বাত জ্বরের পুনরাবৃত্তি এড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা প্রায় দীর্ঘমেয়াদী পেনিসিলিন ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন যা কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে। একই সঙ্গে রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায় এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয় তবে রবির সুস্থতার সময়কাল তুলনামূলকভাবে কম হয় এবং জটিলতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
বাতজ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা কি
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে বাতজ্বর একটি সংক্রামক ও প্রদর্শনিত রোগ যা চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া যত্নের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। ঘরোয়া চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, দেহকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়তা করা। প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলো যেমন বিশ্রাম ও সুষম খাদ্য এবং পর্যাপ্ত হাইড্রেশন রোগীর আরোগ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শে পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
বাতজ্বরের ক্ষেত্রে তীব্র জয়েন্ট ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন গরম পানি দিয়ে শেক দেওয়া কার্যকর হতে পারে। গরম সেক প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের সঞ্চালন উন্নত করে। পাশাপাশি আদাও হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদান প্রদাহ নাশক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন এক কাপ চা বা হলুদ দুধ পান করলে ব্যথা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। এছাড়াও তুলসী পাতার রস এবং মধু মিশিয়ে খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
বাতজ্বরের সময় রোগীর পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাজা শাকসবজি এবং ফলমূল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং পর্যাপ্ত পানির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন রোগের সুস্থতার পথে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর বা ব্যথার কারণে সৃষ্ট মানসিক অস্বস্তি কমানোর জন্য পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অপরিহার্য। ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা নিশ্চিত করতে হবে।
বাতজ্বরের কারণ ও লক্ষণ
- সাধারণত গ্রুপে স্ট্রেপটোকাক্কাল ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণ হয়।
- সংক্রমণ যথাসময়ে চিকিৎসা না করা হলে এটি বাতজ্বরের দিকে রূপ নিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর ইমিউন সিস্টেম ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় যা হৃদপিণ্ড ও জয়েন্ট আর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করতে পার।
- জিনগত কারণেও বাতজ্বর হতে পারে। যদি পরিবারের অন্য সদস্যদের এই রোগের ইতিহাস থাকে তাহলে এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- জীবাণু সংক্রমনের ঝুঁকি থাকা এলাকায় বসবাস বা অপরিষ্কার পরিবেশে থাকা বাত জ্বরের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- বাত জ্বরের প্রধান লক্ষণ হল শরীরের তীব্র জ্বর এবং সাধারণ দুর্বলতা। রোগী প্রায় ক্লান্তি অনুভব করে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে অক্ষম হয়ে পড়ে।
- বাত জ্বরের কারণে জয়েন্টের তীব্র ব্যথা এবং ফোলা আর লালচে রং দেখা যায়। এ ব্যথা প্রায় এক জয়েন্ট থেকে আরেক জয়েন্টে স্থানান্তরিত হয়।
- বাত জ্বরের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে হৃদপিন্ডের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
- বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট আর অনিয়মিত হার্টবিট এর লক্ষণ হতে পারে।
- ত্বকে লালচে র্যাশ এবং ত্বকের নিচে ছোট নডিউল তৈরি হওয়া বাতজ্বরের আরেকটি লক্ষণ।
বাতজ্বর কি ভালো হয়
বাতজ্বর একটি জটিল রোগ যা মূলত সংক্রমণ এবং ইউনিয়ন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে দেহে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা এবং পরবর্তী যত্নের মাধ্যমে বাতজ্বর পুরোপুরি ভালো হতে পারে। বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত এন্টিবায়োটিক এবং প্রদাহনাশক ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে উপযুক্ত যত্ন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদে জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে বিশেষ করে হৃদপিন্ডের ক্ষতির ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা
বাতজ্বর ভালো হওয়ার জন্য নির্ভুল এবং ধৈর্যশীল চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসায় সাধারণত এন্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণ দূর করা হয় এবং প্রদাহ কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ চিকিৎসার অংশ হিসেবে পেনিসিলিন থেরাপি দেওয়া হয় যা কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে। তবে হৃদপিণ্ড বা জয়েন্টের ক্ষতি হলে সেগুলোর চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হয়। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হয় এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয় যা দেহকে পুনরুদ্ধার প্রতিক্রিয়ার সহায়তা করে।
বাতজ্বর থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার পর রোগীর জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস বা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা আর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু বাতজ্বর পুনরাবৃত্তি হতে পারে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিরোধক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে সঠিক যত্ন ও নজরদারির মাধ্যমে বাতজ্বরের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
বাতজ্বর হলে করণীয়
বাতজ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ধাপের চিকিৎসক গলা ব্যাথার উৎস এবং স্ট্রেপ্টোকাক্কাল ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করেন। এ সংক্রমণ নিশ্চিত হলে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা হয়। যা সংক্রমণ দূর করতে সহায়ক। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে জটিলতা কম হয়। পাশাপাশি রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং শারীরিক পরিশ্রম এড়াতে হবে। জ্বরের তীব্রতা কমাতে প্যারাসিটামল বা নন স্টেরইয়েডাল প্রদাহ নাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাতজ্বরের সময় রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে যায় তাই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগের প্রতিদিন প্রচুর তরল পান করা উচিত যেমন পানি এবং ফলের রস। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলালেবু এবং টমেটো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাজা শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আর হালকা সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এছাড়া রোগীকে পরিষ্কার এবং আরামদায়ক পরিবেশে রাখা উচিত যাতে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমে।
বাত জ্বরের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে দীর্ঘমেয়াদি পেনিসিলিন থেরাপি অনেক সময় প্রয়োজন হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি রোগের জীবন যাপনে পরিছন্নতা বজায় রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। জয়েন্ট বা হৃদপিণ্ডের যদি কোন জটিলতা থাকে তবে সেগুলোর জন্য আলাদা চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা করানো এবং পরবর্তী ফলোআপ নিশ্চিত করা বাতজ্বর থেকে সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য।
বাতজ্বরের পরীক্ষার নাম
বাত জ্বরের প্রধান কারণ গ্রুপে স্ট্রেপ্টোকাক্কাল ব্যাকটেরিয়া। এ সংক্রমণ নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত থ্রোট কালচার বা র্যাপিড স্টেপ টেস্ট করেন। থ্রোট কালচারে রোগীর গলার লাল আর নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং এতে স্ট্রেপ্টোকাক্কাল ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার সংক্রমণ সনাক্ত করতে অত্যন্ত নির্ভুল এবং কার্যকর। র্যাপিড স্টেপ টেস্ট তুলনামূলক দ্রুত ফলাফল দেয় যা চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে সহায়ক।
আর পড়ুনঃ চুল ঘন করার উপায় ৭ দিনে
বাত জ্বরের কারণ যদি স্ট্রেপ্টোকাক্কাল সংক্রমণ থেকে উদ্ভূত হয় তবে রক্তে এন্ট্রিস্ট্রেপ্টোলাইজিন ও অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেড়ে যায়। ASO তাই তার পরীক্ষার মাধ্যমে এই এন্টিবডির স্তর নির্ধারণ করা হয়। যদিও ASO টাইটেলের মাত্রা বেশি হয় তবে টিপ প্রমাণ করে যে রোগীর সম্প্রতি স্ট্রেপ্টোকাক্কাল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। এই পরীক্ষা বাত জ্বর নির্ণয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত যখন সংক্রমণের লক্ষণ গলায় স্পষ্ট না হয়।
বাত জ্বরের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। ইকো কার্ডিওগ্রাম বা ইসিজি ব্যবহার করে হৃদ যন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়। ইকো কার্ডিওগ্রাম এ হৃদপিন্ডের গঠন ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা হয় যা রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ শনাক্ত করতে সাহায্য করে। ইসিজি হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরীক্ষা করে।
লেখক এর শেষ কথা
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর কি বাতজ্বর হতে পারে এ বিষয় নিয়ে লেখা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সমস্ত গুলো বিষয় বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি। বাতজ্বর থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে হয় এবং কি কাজ করলে বাতজ্বর সহজেই সমাধান হয়ে যাবে এইসব বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করেছি। এমনই সব নিত্য নতুন বিষয় সম্পর্কে কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট রেগুলার ভিজিট করতে পারেন। 37147
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url