ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

 ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে বাড়ছে  স্বাস্থ্য  ঝুঁকি

মানুষ সৌন্দর্য প্রিয়। রূপচর্চা ওর সৌন্দর্য চর্চার জন্য প্রসাধনী ব্যবহার করে। কিন্তু ভেজাল প্রসাধ্বনিতে বাজার ছয়লাব। আজ আমি এই ওয়েবসাইটে ভেজাল প্রসাধনী নিয়ে আলোচনা করব। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি অধ্যয়ন করুন এবং স্বাস্থ্য সুখী থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

ভেজাল প্রসাধনী কিভাবে মানুষকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর দেরি না করে চলুন আমরা এই ভেজাল প্রশাসনে ব্যবহারে কিভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে সে বিষয়ে আলোকপাত করি।  আমাদের সাথেই থাকবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে বাড়ছে  স্বাস্থ্য  ঝুঁকি
ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে বাড়ছে  স্বাস্থ্য  ঝুঁকি
ভেজাল প্রসাধনী বলতে কী বোঝায়
কী ধরনের প্রসাধনী বেশি ভেজাল হয়
ভেজাল প্রসাধনী কিভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়
কেন মানুষ ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহার করে
কীভাবে চিনবেন ভেজাল প্রসাধনী
নিরাপদ প্রসাধনী ব্যবহারে করণীয়
ভেজাল প্রসাধনী নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
লেখকের শেষ বক্তব্য

ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

বর্তমান যুগে সৌন্দর্যচর্চা ও ব্যক্তিগত পরিচর্যার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ত্বক, চুল কিংবা চেহারার যত্ন নিতে মানুষ নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিচ্ছে তখনই, যখন এই প্রসাধনীগুলোর অনেকগুলোই ভেজাল কিংবা নিম্নমানের উপাদানে তৈরি। এসব ভেজাল প্রসাধনী আমাদের শরীরে নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে, যার ফলে দিন দিন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

ভেজাল প্রসাধনী বলতে কী বোঝায়

ভেজাল প্রসাধনী হলো এমন সব কসমেটিক্স যা অনুমোদিত মান অনুসারে তৈরি নয়, অথবা যেগুলোর মধ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান থাকে। অনেক সময় প্রসাধনী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের আশায় খরচ কমাতে গিয়ে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নকল ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে তৈরি করা হয় ভেজাল পণ্য।

কী ধরনের প্রসাধনী বেশি ভেজাল হয়

বাংলাদেশসহ অনেক দেশে সবচেয়ে বেশি ভেজাল পাওয়া যায় নিম্নলিখিত প্রসাধনী পণ্যেঃ

ফেসক্রিম ও ফেয়ারনেস ক্রিম, লিপস্টিক, ফাউন্ডেশন ও পাউডার, আইলাইনার ও কাজল, চুলে ব্যবহৃত ডাই ও হেয়ার অয়েল, পারফিউম ও ডিওডোরেন্ট।

আরো পড়ুনঃ

ভেজাল প্রসাধনীতে কী ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে

১. পারদ (Mercury): অনেক ফেয়ারনেস ক্রিমে এই ধাতব উপাদানটি ব্যবহৃত হয়, যা ত্বককে সাময়িকভাবে উজ্জ্বল দেখায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি কিডনি ও স্নায়ুতন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

২. লেড (Lead): সাধারণত লিপস্টিক ও হেয়ার ডাই-এ এই বিষাক্ত ধাতব উপাদান থাকে। এটি রক্তে মিশে গিয়ে নার্ভাস সিস্টেমে ক্ষতি করে।

৩. স্টেরয়েড: দ্রুত ত্বক ফর্সা করার জন্য অনেক কসমেটিকসে স্টেরয়েড মেশানো হয়, যা ত্বকের প্রাকৃতিক গঠন নষ্ট করে দেয়।

৪. হাইড্রোকুইনন (Hydroquinone): এটি একটি ব্লিচিং এজেন্ট যা ত্বকে ব্যবহারের ফলে সেল মিউটেশন ঘটাতে পারে।

৫. ফর্মালিন (Formalin): বিশেষ করে হেয়ার প্রোডাক্টে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয় যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে পরিচিত।

ভেজাল প্রসাধনী কিভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়

১. ত্বকের সমস্যাসমূহঃ  ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের সবচেয়ে সাধারণ এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ত্বকে। যেমনঃ  চুলকানি ও র‍্যাশ, ব্রণ ও ফুসকুড়ি, একজিমা বা ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের রং পরিবর্তন (পিগমেন্টেশন), ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া।

২. চুল ও মাথার ত্বকের সমস্যাঃ হেয়ার ডাই বা হেয়ার অয়েলে ভেজাল উপাদান থাকলে দেখা দিতে পারেঃ অতিরিক্ত চুল পড়া, টাক পড়া, মাথার ত্বকে ইনফেকশন, খুশকি ও শুষ্কতা।

৩. অ্যালার্জি ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যাঃ পারফিউম, ডিওডোরেন্ট কিংবা আইশ্যাডো বা কাজল ব্যবহারেও অনেকের শরীরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চোখে জ্বালাপোড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাঁচি বা অ্যাজমার সমস্যা বাড়ে।

৪. অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতিঃ  ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই রাসায়নিক উপাদানগুলো ধীরে ধীরে কিডনি, লিভার এবং হৃদযন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৫. ক্যান্সারের ঝুঁকিঃ  ভেজাল প্রসাধনীর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক, স্তন বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৬. হরমোনের ভারসাম্যহীনতাঃ অনেক কসমেটিক্সে ব্যবহৃত ফাইটোএস্ট্রোজেন জাতীয় উপাদান নারীদের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে, যার ফলে বন্ধ্যাত্ব, অনিয়মিত মাসিক এমনকি জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কেন মানুষ ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহার করে

মানুষ বিভিন্ন কারণে ভেজাল পণ্য তৈরি বা প্রশাসনে ভেজাল উপাদান ব্যবহার করে থাকে। নিচে কিছু প্রধান কারণ তুলে ধরা হলোঃ  ১. অতিরিক্ত মুনাফার লোভ:  অনেক ব্যবসায়ী বা উৎপাদক কম খরচে বেশি লাভের আশায় সস্তা ও নিম্নমানের উপাদান দিয়ে ভেজাল করে থাকেন। এতে উৎপাদন খরচ কমে যায় এবং লাভের পরিমাণ বেড়ে যায়। 

২. আইনের দুর্বল প্রয়োগঃ  অনেক সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি বা কঠোর ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সহজেই ভেজাল কাজে লিপ্ত হয়।

৩. জনসচেতনতার অভাব ঃ অনেক সাধারণ মানুষ জানেই না যে তারা ভেজাল পণ্য ব্যবহার করছে। এই অজ্ঞতা ও অসচেতনতাকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যক্তিরা সহজেই ভেজাল করে থাকে।

৪. প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টাঃ বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হওয়ায় অনেক ছোট উৎপাদক কম দামে পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে ভেজাল ব্যবহার করেন।

৫. দ্রব্যের চাহিদা মেটাতেঃ কখনো কখনো চাহিদা অনুযায়ী আসল পণ্যের জোগান না থাকায় বিক্রেতারা ভেজাল পণ্য মিশিয়ে চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে।

কীভাবে চিনবেন ভেজাল প্রসাধনী

ভেজাল প্রসাধনী চেনার কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি অনেকাংশে নিশ্চিত হতে পারেন যে একটি প্রসাধনী পণ্য ভেজাল কিনা। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি উল্লেখ করা হলোঃ 

১. প্রসাধনীর গন্ধ ও রঙ দেখে বোঝাঃ অতিরিক্ত তীব্র বা রকমারি কেমিক্যালের গন্ধ থাকলে সতর্ক হোন। স্বাভাবিকের তুলনায় রঙ যদি খুব গাঢ় বা অস্বাভাবিক হয়, তাহলে সেটা ভেজাল হতে পারে। 

২. প্যাকেজিং দেখে যাচাই করাঃ  ব্র্যান্ডের নামের বানানে ভুল আছে কিনা দেখুন (যেমনঃ Dove এর জায়গায় Dovv লেখা থাকতে পারে)। মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ (expiry date) বা উৎপাদনের তারিখ (manufacture date) অস্পষ্ট বা ভুলভাবে লেখা থাকলে সেটি ভেজাল হতে পারে।

৩. বডি রিঅ্যাকশন বা অ্যালার্জি দেখা দিলে সতর্ক হোনঃ  ব্যবহার করার পর যদি ত্বকে চুলকানি, লালচে দাগ, জ্বালা বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়, তাহলে পণ্যটি ভেজাল হতে পারে। ভালো মানের প্রসাধনী সাধারণত হালকা ও সহনীয় উপাদান দিয়ে তৈরি হয়।

৪. মূল্য যাচাই করুনঃ  বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে যদি পাওয়া যায়, তবে সেটা ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অস্বাভাবিক ছাড় বা "বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি" অফারে পণ্যের মান যাচাই করে নিন।

৫. লাইসেন্স ও অনুমোদন চেক করাঃ  পণ্যে বিএসটিআই (BSTI), ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা অন্যান্য মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন আছে কিনা যাচাই করুন।  QR কোড বা বারকোড স্ক্যান করে পণ্যের আসল পরিচয় যাচাই করা যায়।

৬. অনলাইন রিভিউ ও ব্যবহারকারীর মতামত যাচাই করাঃ  অনলাইনে পণ্যের রিভিউ পড়ে নিন এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা জেনে নিন।  সন্দেহজনক পণ্যের ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন। 

৭. নকল ও আসল পার্থক্য ভিডিও দেখে শেখা ঃ ইউটিউব বা ফেসবুকে অনেক পেশাদার ভিডিও থাকে যেগুলোতে আসল বনাম নকল প্রসাধনীর পার্থক্য তুলে ধরা হয়।

নিরাপদ প্রসাধনী ব্যবহারে করণীয়

১. ব্র্যান্ড যাচাই করে কেনাকাটা করুন: সবসময় স্বীকৃত ব্র্যান্ডের পণ্য কিনুন এবং অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর বা দোকান থেকে সংগ্রহ করুন।

আরো পড়ুনঃ

২. লেবেল ভালোভাবে পড়ুন: উপাদান তালিকা, ব্যবহার বিধি, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ যাচাই করুন।

৩. প্রাকৃতিক ও অর্গানিক পণ্যের দিকে ঝুঁকুন: হারবাল বা প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার অধিক নিরাপদ।

৪. ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন: কোনো ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে নিজে ওষুধ না লাগিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. অনলাইনে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা: যাচাই না করা ফেসবুক পেজ বা সন্দেহজনক ই-কমার্স সাইট থেকে কেনা বর্জন করুন।

ভেজাল প্রসাধনী নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

ভেজাল প্রসাধনী নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ধরনের পণ্য মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে। সরকার এই বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে, তবে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। নিচে ভেজাল প্রসাধনী নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা এবং প্রয়োজনে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা তুলে ধরা হলো:

সরকারের বর্তমান ভূমিকা: ১. বিআরসি এবং বিএসটিআই-এর কার্যক্রম: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নিয়মিত বাজার তদারকি করে ভেজাল ও মানহীন প্রসাধনী শনাক্ত করে। বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশন (বিআরসি) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রসাধনীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান শনাক্তের জন্য ল্যাবরেটরি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।

২. র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানঃ  র‌্যাব, ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে জব্দ করা পণ্য ধ্বংস করা হয় এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

৩. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (DNCRP) পদক্ষেপঃ DNCRP ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রসাধনী দোকানে হানা দিয়ে ভেজাল পণ্য জব্দ করে এবং জরিমানা করে।

প্রয়োজনে যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিতঃ ১. আইন আরও কঠোর করাঃ ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন ও বিক্রয়কে জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। অপ্রকাশিত বা রেজিস্ট্রেশনবিহীন বিদেশি প্রসাধনী পণ্যের আমদানি বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

২. বাজারে ল্যাব টেস্ট বাধ্যতামূলক করাঃ যেকোনো নতুন প্রসাধনী বাজারে আসার আগে বিএসটিআই-এর অনুমোদিত ল্যাব থেকে মান যাচাই বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৩. সচেতনতা বৃদ্ধিঃ জনগণকে ভেজাল প্রসাধনীর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে গণমাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতামূলক সেমিনার ও ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা যেতে পারে।

৪. অনলাইন পণ্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণঃ  অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ভেজাল প্রসাধনী বিক্রি প্রতিরোধে সরকারকে কঠোর নজরদারি এবং অনুমোদিত পণ্যের তালিকা তৈরি করতে হবে।

৫. ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালু করাঃ  প্রতিটি প্রসাধনীর গায়ে ইউনিক কোড বা QR কোড সংযুক্ত করে উৎস এবং মান যাচাই করার সুযোগ রাখতে হবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

সৌন্দর্যচর্চা আমাদের জীবনের অংশ, তবে সেটা যেন শরীরের ক্ষতির কারণ না হয়। ভেজাল প্রসাধনী সাময়িকভাবে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুললেও দীর্ঘমেয়াদে তা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই প্রয়োজন সচেতনতা, সচেতন নির্বাচন এবং সরকারি ও সামাজিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। সুন্দর থাকতে চাইলে আগে নিরাপদ থাকতে হবে।

প্রিয় পাঠক। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি এই কন্টেন্ট পার করে আপনি ভেজাল প্রসাধনের সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। আরো অন্যান্য বিষয় জানতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url