সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম

  

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম, এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের আর্টিকেলে আমরা সিটি ব্যাংকের একাউন্ট খোলা সম্পর্কে আলোচনা করব।

সিটি ব্যাংক-একাউন্ট চেক-করার নিয়ম

এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে একাউন্ট খোলার ব্যাংকের নিয়ম সম্পর্কে জানব তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই একাউন্ট চেক করার নিয়ম গুলো কি কি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম সমগ্র

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম, সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে নিচে কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমেঃ সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইন্টারনেট ব্যাংকিং। সিটি ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। প্রথমে সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং অপশন লগইন করেন এবং এখানে আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে এবং লগইন করার পর আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড ব্যালেন্স অনলাইনে সকল তথ্য দেখতে পারবেন।

সিটি টাচ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেঃ সিটি ব্যাংক সিটি টাচ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ সরবরাহ করে এবং এ্যাপের মাধ্যমে সহজেই আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। প্রথমে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিবন্ধন করুন এবং নিবন্ধন সম্পন্ন হলে মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন এবং লগইন করার পর হোম পেজে আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স অন্যান্য প্রয়োজনে তথ্য দিয়ে দিবে।

এসএমএস ব্যাংকিংঃ সিটি ব্যাংকের এস এম এস ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করে একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা সম্ভব এবং সিটি ব্যাংকে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার থেকে নির্দিষ্ট ফরমেটে এসএমএস পাঠিয়ে আপনি আপনার ব্যালেন্স জানতে পারবেন।

এটিএম মেশিনের মাধ্যমেঃ সিটি ব্যাংকের যে কোন এটিএম ব্যাংক থেকে আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারেন এবং এটিএম কার্ড দিয়ে মেশিনে প্রবেশ করে পিন নাম্বার প্রদান করতে হবে এরপর ব্যালান্স ইনকোয়ারি অপশন আসবে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স স্ক্রিনে দেখতে পারবেন এবং চাইলে রিসিট ও নিতে পারবেন।

কাস্টমার কল কেয়ারঃ সিটি ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ও ফোন করে আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন এবং কাস্টমার কেয়ারে কল করে আপনাকে কিছু নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এবং সঠিক উত্তর দিলে কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট আপনার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স জানিয়ে দিবেন।

ব্যাংক শাখায় গিয়েঃ সরাসরি সিটি ব্যাংকের যে কোন শাখায় গিয়েও আপনি আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে ব্যালেন্স চেক করার জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে রাখতে হবে এবং শাখার নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন এবং প্রয়োজন হলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন।

সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম, সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা প্রয়োজন এবং নিজে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম তুলে ধরা হলো।

একাউন্টে ধরন বেছে নেওয়াঃ সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্টের সুবিধা প্রদান করে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি সেভিংস একাউন্ট কারেন্ট একাউন্ট ফিক্স ডিপোজিট বা অন্য কোন বিশেষ ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন সেভিংস একাউন্ট সাধারণত ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং কারেন্ট একাউন্ট ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য আর ফিক্স ডিপোজিট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা জমা রাখার জন্য।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহঃ একাউন্ট খোলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট প্রয়োজন। সাধারণত জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি দুই থেকে তিন কপি এবং বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি এবং টিআইএন নাম্বার প্রয়োজন হয় এবং সিটি ব্যাংক কোন ব্যবসায়ী একাউন্টের জন্য ব্যবসার নিবন্ধন সনদ বা ট্রেড লাইসেন্স চাই এবং ফিক্স ডিপোজিট ক্ষেত্রে একক বা যৌথ একাউন্টের জন্য বাড়তি কাগজপত্র থাকতে পারে।

ফরম পূরণ এবং স্বাক্ষরঃ ব্যাংকে গিয়ে নির্দিষ্ট একাউন্ট খোলার জন্য একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং এই ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে এবং ফরম পূরণ করার পর সঠিক স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দ্বারা যাচাই করা হবে এবং অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নমিনি বা যৌথভাবে একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সহ স্বাক্ষরকারী নাম যুক্ত করতে পারেন।

কেওয়াইসি ফরম পূরণঃ  সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ বাধ্যতামূলক এতে আপনার উৎস ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য দিতে হয় এবং কেওয়াইসি ফার্মের মাধ্যমে ব্যাংক আপনার অর্থনৈতিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং তার নির্দিষ্ট নিয়মের সংরক্ষণ করে যা নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাথমিক জমার পরিমাণঃ সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সাধারণত একটি প্রাথমিক পরিমাণ জমা রাখতে হয় এবং এটি ব্যাংক এবং একাউন্টের ধরন অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। সেভিংস বা কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে সাধারণত একটি ন্যূনতম পরিমাণ টাকা জমা রেখে একাউন্টটি চালু করা হয় যা পরবর্তীতে লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে।

ডেবিট কার্ড বা চেকবুক সংগ্রহঃ একাউন্ট খোলার পর সিটি ব্যাংকে আপনাকে ডেবিট কার্ড বা চেক বুক সংগ্রহ করে এবং ডেবিট কারবার চেক বুক নিতে হলে ফর্মে আলাদা অনুরোধ করতে হয় এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি এটিএম মেশিন থেকে টাকা উত্তোলন এবং অন্যান্য লেনদেন করতে পারবেন যা চেক বুকের সাহায্যে বড় পরিমাণ লেনদেন করা সম্ভব।

সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনলাইনে

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম, সিটি ব্যাংকে অনলাইন একাউন্ট খোলার জন্য কয়েকটি ধাপ রয়েছে যা সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ঘরে বসে এখন খুলতে পারবেন। নিচে অনলাইনে সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ব্যাখ্যা করা হলো।

সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুনঃ অনলাইনে একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সাইটে ঢুকে একাউন্ট ওপেনিং বা অ্যাপ্লাই অনলাইন নামে একটি অপশন খুঁজে বের করুন। সেখানে অ্যাপ্লাই নাও বা ওপেন একাউন্ট অপশন এ ক্লিক করলে একটি নতুন পেজ খুলবে যেখানে অনলাইনে একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা গুলি পাবেন।

একাউন্ট এর ধরন ও নির্বাচনঃ অনলাইনে একাউন্ট খোলার সময় প্রথমে একাউন্টে ধরুন বেছে নিতে হয় এবং আপনি সেভিংস একাউন্ট কারেন্ট একাউন্ট বা ডিপোজিট একাউন্ট এর মধ্যে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন একটি বেছে নিতে পারবেন। বেছে নেওয়ার পর পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন এবং সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানঃ একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং আপনার পূর্ন নাম জন্ম তারিখ email মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা এই তথ্য প্রদান করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত কারণ সঠিক তথ্য না দিলে একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না।

ডকুমেন্ট আপলোডঃ অনলাইনে একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে এবং সাধারণত জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং ঠিকানার হিসেবে বিদ্যুৎ বিল এর কপি আপলোড করতে হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে আপনার সেলফি বা লাইফ ছবি তোলার অপশনও থাকতে পারে যা দিয়ে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।

কেওয়াইসি ফর্ম পূরণঃ অনলাইনে কেওয়াইসি ফরম পূরণ করতে হবে এবং যেখানে আপনার পেশা বার্ষিক আয় এবং লেনদেনের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্ক তথ্য দিতে হবে এবং এটি ব্যাংকে নিরাপত্তা এবং প্রতারণা প্রতিরোধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং কেওয়াইসি ফরম পূরণ করার পর একটিও টিপি কোড আপনার মোবাইল নাম্বারে পাঠানো হবে যা ফরমটি সাবমিট করার জন্য প্রয়োজন।

আবেদন জমা এবং নিশ্চিতকরণঃ সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং ডকুমেন্ট আপলোড করার পর আবেদন জমা দিন এবং সফলভাবে জমা দেওয়ার পর একটি কনফার্মেশন মেসেজ মেসেজ বা ইমেইল পাবেন এবং ব্যাংকটি আবেদন যাচাই করে দেখবে এবং যাদের প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনার মোবাইল নাম্বারে ইমেইল একাউন্ট খোলার স্ট্যাটাস জানিয়ে দিবে এবং অনুমোদন পাওয়া গেলে ব্যাংক আপনাকে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য পাঠাবে।

সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম, সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় যা গ্রাহকদের আর্থিক পনা কে আরো সহজ এবং নিরাপদ করে। নিচে সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরা হলো।

নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য লেনদেনঃ সিটি ব্যাংক একটি প্রতিষ্ঠিত এবং নিরাপদ ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হওয়া এখানে লেনদেন অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং আপনার টাকা ব্যাংকে সঞ্চিত থাকবে এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পূর্ণ করা যাবে এরপর একাউন্ট খোলার পর আপনি সহজে নিরাপদ ভাবে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন যা নগদ টাকা ঝুকি কমিয়ে দেয়।
সিটি ব্যাংক-একাউন্ট চেক-করার নিয়ম
ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সিটি টাচ মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে ঘরে বসে আপনার একাউন্ট চেক করা এবং ফান্ড ট্রান্সফার বিল পরিশোধসহ আরো অন্যান্য অনেক কাজ করা সম্ভব।

বিভিন্ন ধরনের একাউন্টের সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের একাউন্টের সুবিধা দেয় যেমন সেভিংস একাউন্ট কারেন্ট একাউন্ট এবং ফিক্স ডিপোজিট একাউন্ট এবং শিশুদের জন্য বিশেষ অ্যাকাউন্ট আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে এই অ্যাকাউন্টগুলি এর মধ্যে থেকে উপযুক্ত একাউন্টটি বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের সুবিধা গ্রহণ করে আপনি আপনার আর্থিক পরিকল্পনা আরো সুশৃঙ্খলভাবে করতে পারেন।

বিচিত্র লেনদেন সুবিধা এবং চেকবুক ও ডেবিট কার্ড সুবিধাঃ একাউন্ট খোলার পর সিটি ব্যাংক থেকে আপনি একটি ডেবিট কার্ড পাবেন যা দিয়ে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন ও বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা পেমেন্ট করতে পারবেন এবং এছাড়া চেকবুকের মাধ্যমে বড় অংকের লেনদেনও করতে পারবেন যা বিশেষ করে ব্যবসায়ী গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

সুবিধা জনক সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুযোগঃ সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এবং ফিক্স ডিপোজিট এর মাধ্যমে আপনি আপনার অর্থ সঞ্চয় করে শুধু উপার্জন করতে পারবেন এবং ফিক্স ডিপোজিটের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পর একটি নির্দিষ্ট সুদের হার প্রদান করা হয়েছে মাধ্যম হতে পারে যা আপনার আর্থিক নিরাপত্তা দৃঢ় করবে।

বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেমেন্ট করতে পারবেন এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে সারা বিশ্বে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যা অত্যন্ত আন্তর্জাতিক লেনদেন ও ভ্রমণের সময় উপকারী।

সিটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

সিটি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রয়োজন হয় যা একাউন্টে ধরুন ও শর্ত অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে এবং সেটি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য কত টাকা লাগতে পারে এবং এ তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য প্রাথমিক ডিপোজিটঃ সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য এবং সাধারণত একটি ন্যূনতম পরিমাণ প্রাথমিক ডিপোজিট করতে হয় এবং এই প্রাথমিক ডিপোজিটের পরিমাণ প্রায় ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই টাকার পরিমান ব্যাংকের নিয়ম ও শর্ত অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে এবং বিভিন্ন প্রচারণামূলক অপারের সময় বিভিন্ন ছাড় ও থাকতে পারে আর তবে প্রাথমিক ডিপোজিট একবার জমা দিলে একাউন্ট খোলা সম্ভব।

কারেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য নূন্যতম ডিপোজিটঃ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য কারেন্ট একাউন্ট খুলতে তুলনামূলকভাবে বেশি প্রয়োজন হতে পারে তবে এটি সাধারণত ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে এবং কারেন্ট একাউন্টে সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতো নিয়মিত চুদে না থাকলেও বড় অংকের লেনদেনের জন্য এটি উপযুক্ত এবং এর জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আগ্রহী নন।

ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট খোলার খরচঃ সিটি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট খুলতে হলে সাধারণত কমপক্ষে ১০ হাজার থেকে 20 হাজার টাকা জমা রাখতে হয় এবং ফিক্স ডিপোজিট একাউন্টে এই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা রাখতে হয় এবং মেয়াদ শেষে সহ ফেরত পাওয়া যায় এবং ফিক্স ডিপোজিট বিভিন্ন মেয়াদের হতে পারে যেমন তিন মাস ছয় মাস এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য এবং ফিক্সড ডিপোজিট বিনিয়োগের পরিমাণ যত বেশি সুদের হার ও ততো বেশি হতে পারে।

কিশোর সঞ্চয় একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণঃ সিটি ব্যাংক শিশুদের জন্য কিশোর সঞ্চয় একাউন্ট এর সুবিধা প্রদান করে যেখানে নূন্যতম ডিপোজিট কম থাকে এবং সাধারণত এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকা প্রয়োজন হয় এবং এ ধরনের অ্যাকাউন্ট শিশুদের সঞ্জয়ের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে এবং তাদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা গড়ে তোলার জন্য সহায়তা করে।

ইসলামিক একাউন্ট খোলার জন্য প্রাথমিক ডিপোজিটঃ সিটি ব্যাংক ইসলামী শাখার অধীনে ইসলামিক সেভিংস এবং কারেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা দেয় এবং ইসলামিক একাউন্ট খোলার জন্য সাধারণত ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার প্রাথমিক ডিপোজিট প্রয়োজন হয়। এই একাউন্টের মাধ্যমে সুদের পরিবর্তে শরিয়াহ মোতাবেক মুনাফা প্রদান করা হয় যা ইসলামিক শরিয়াহ মেনে চলে এবং মুসলিম গ্রাহকদের জন্য একটি আদর্শ বিকল্প হতে পারে।

ডিপোজিট সীমার উপর নির্ভরশীল সুবিধা সমূহঃ সিটি ব্যাংক ন্যূনতম ডিপোজিট এর ভিত্তিতে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে যেমন বেশি ডিপোজিট রাখা হলে বেশি সুদের হার পাওয়া যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা ও অফার প্রদান করা হয়। এবং একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রেখে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা যেমন ইন্টারনেট ব্যাংকিং মোবাইল ব্যাংকিং এবং এটিএম সুবিধা আরো বেশি সহজে পাওয়া যায়।

সিটি ব্যাংক থেকে কত ধরনের লোন পাওয়া যায়

সিটি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে যা গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করে। নিচে সিটি ব্যাংকের লোন সুবিধা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হলো।

পার্সোনাল লোনঃ ব্যক্তিগত প্রয়োজন যেমন চিকিৎসা শিক্ষা বিয়ে বা অন্য কোন জরুরি খরচের জন্য সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন প্রদান করে এবং সাধারণত এই ঋণটি জামানত ছাড়াই প্রদান করা হয় যা গ্রাহকদের জন্য সুযোগ ও সুবিধাজনক। এলনের পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এবং সহজ কিস্তিতে পরিষদের সুযোগ থাকে।
হোম লোনঃ সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য হোম লোন বা গৃহঋণ এর সুবিধা দিয়ে থাকে যা বাড়ি কিনা নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য ব্যবহার করা যায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হওয়ায় কিস্তির পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়। হোম লোনের পরিমাণ সাধারণত বড় হওয়া এবং এই ঋণের জন্য কিছু জামানত বা গ্যারান্টি প্রয়োজন হতে পারে এবং সেটি ব্যাংক সুদের হার ও প্রতিযোগিতামূলক রাখে যা গ্রাহকদের জন্য সশ্রয় হয়ে উঠেছে।

অটো লোনঃ গাড়ি কেনার জন্য সিটি ব্যাংক থেকে অটো লোন পাওয়া যায় এবং ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এই ঋণটি প্রযোজ্য এবং এই লোনের পরিমাণ এবং কিস্তির মেয়াদ আপনার প্রয়োজন এবং আর্থিক সামর্থের উপর নির্ভরশীল এবং সিটি ব্যাংকেই ঋণ সহজ শর্ত এবং সশ্রয় সুদের হারে প্রদান করে থাকে। 

এডুকেশন লোনঃ উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করার জন্য সিটি ব্যাংক এডুকেশন লোন প্রদান করে এবং এরিন টিদেশ বা বিদেশে শিক্ষার খরচ মেটানোর জন্য খুবই সহায়ক এবং সাধারণত শিক্ষার্থীর অভিভাবক বা অন্য কেউ এদিনের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং এই দিনের কিস্তি সাধারণত নমনীয় হয় এবং বিভিন্ন শর্তে অনুসারে তা গ্রহণযোগ্য।

বিজনেস লোনঃ নতুন বা বিদ্যমান ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সিটি ব্যাংক বিজনেস লোন প্রদান করে এবং ঋণটি ব্যবসার মূলধন বাড়ানো নতুন প্রজেক্ট শুরু করা বা ব্যবসার চলতি খরচ মেটাতে সহায়তা করে এবং ব্যবসায়িক ঋণের পরিমাণ বড় হতে পারে এবং এর জন্য ব্যবসার তথ্য আয়-ব্যয়ের হিসাব ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে এবং সেটি ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদের বিজনেস লোন অফার করে।

ক্রেডিট কার্ড লোনঃ সিটি ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে লোন প্রদান করে এবং এই লোনটি আপনার ক্রেডিট কার্ডের লিমিট অনুযায়ী অনুমোদিত হয়ে থাকে এবং এটি বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় এবং এই লোনের সুবিধা হল এটি দ্রুত পাওয়া যায় এবং কোন অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় না তবে এটি সাধারণত অল্প সময়ের জন্য হয় এবং এই উচ্চ সুদের হারে হয়ে থাকে।

সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা কি

সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট একটি বিশেষ ধরনের অ্যাকাউন্ট যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এই একাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের আর্থিক লেনদেনের সহজে এবং নিরাপদে করতে পারেন নিজে সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা আলোচনা করা হলো।

কম প্রাথমিক ডিপোজিট এবং ফিঃ সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য সাধারণত খুব কম প্রাথমিক ডিপোজিট প্রয়োজন হয় এবং সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পরিমাণ ডিপোজিট দিয়ে একাউন্ট খোলা সম্ভব এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সুবিধা যেন কারণ অনেক শিক্ষার্থী তাদের আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী খুব কম পরিমাণে অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন এবং এছাড়া স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য সিটি ব্যাংক কোন মাসিক বা বার্ষিক ফি নেন না যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।

ডেবিট কার্ড এবং এটিএম সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের সঙ্গে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হয় যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এই কার্ডের মাধ্যমে তারা যেকোনো এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেন এবং অফলাইন পেমেন্ট করতে সক্ষম হন এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সহজ উপায় যা তারা দৈনন্দিন খরচ এবং বইকে না অথবা অনলাইন কেনাকাটা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করতে পারে এবং এই সেবার মাধ্যমে তারা তাদের একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা এবং ফান্ড ট্রান্সফার বিল পেমেন্ট ইত্যাদি সহজ করতে পারেন এবং সেটি ব্যাংকের সিটি টাচ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গা থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন যা তাদের জন্য সময় সাশ্রয় এবং সুবিধা জনক করে।

প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাঃ স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত হন এবং এটি তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শিখতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতে তাদের জন্য একটি শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তিক গড়ে তোলে এবং শিক্ষার্থীরা সেবার মাধ্যমে অর্থ সংরক্ষণ বাজেট পরিকল্পনা এবং সঠিকভাবে লেনদেন করার অভ্যাস তৈরি করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি এবং অন্যান্য পেমেন্ট এর সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি ও ক্যাম্পাসফি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব পরিষদ করতে পারেন এবং এটি বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা জন্য এবং যারা নিয়মিত টিউশন ফি বা অন্যান্য ফি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে লেনদেন করেন। ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা সহজে এবং দ্রুত এ ধরনের পেমেন্ট করতে সম্পন্ন করতে পারেন।

সুদের সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টে সঞ্চয় করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কিছু পরিমাণ সুদ উপার্জন করতে পারেন এবং যদিও এটি সাধারণত ছোট পরিমানে হয় তবে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভালো সুযোগ যাতে তারা সঞ্চয় করতে উৎসাহিত হন এবং সুদ সঞ্চয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ছোট পরিসরে হলেও তাদের টাকা বৃদ্ধি করতে পারেন এবং ভবিষ্যতের জন্য তাদের সহায়ক হতে পারে।

সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয় যা শিক্ষার্থীর পরিচয় ও যোগ্যতা নিশ্চিত করে। নিচে সিটি স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হল।
সিটি ব্যাংক-একাউন্ট চেক-করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদঃ শিক্ষার্থী যদি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হয় তবে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে এবং এটি শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং যদি শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের কম হয় তবে জন্ম সনদ জমা দিতে হবে এটি শিক্ষার্থীর বয়স প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড ভর্তির প্রমাণপত্রঃ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিতদের জন্য প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড অথবা ভর্তির প্রমাণপত্র জমা দিতে হয় এবং এটির মাধ্যমে ব্যাংক নিশ্চিত হয় যে আবেদনকারী একজন শিক্ষার্থী এবং প্রমাণপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত আইডি কার্ড সেমিস্টার ভর্তি রশিদ বা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

অভিভাবকের পরিচয়পত্র এবং আয় সংক্রান্ত প্রমাণপত্রঃ শিক্ষার্থীর বয়স কম হলে অভিভাবকের পরিচয় পত্র জমা দিতে হয় এবং এটি অভিভাবকের পরিচয় পত্র পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স হতে পারে এবং অভিভাবকের আয়ের প্রমাণপত্র ও প্রয়োজন হতে পারে যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে শিক্ষার্থীর বা তার পরিবার ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সক্ষম।

সিটি ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার

সিটি ব্যাংকের হেল্পলাইন নাম্বার গ্রাহকদের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত এবং সিটি ব্যাংকের গ্রাহক সেবা টিম সপ্তাহের সাত দিন চব্বিশ ঘন্টা হেল্পলাইন সেবা প্রদান করে এবং যেকোনো ব্যাংকিং সমস্যা যেমন অ্যাকাউন্ট তথ্য জানালেন দিনের সমস্যা কার্ড সংক্রান্ত জটিলতা বা অন্য কোন ব্যাংকিং তথ্য জানতে চাইলে হেল্পলাইনে কল করে সহজে সমাধান পাওয়া যায়।

সিটি ব্যাংকের হেল্প নাম্বার টি হল ১৬২৩৪ এই নাম্বারে কল করে গ্রাহকরা সরাসরি গ্রাহক সেবা প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এছাড়া দেশের বাইরে থেকে কল করার জন্য +৮৮০২ ৮১১ ৪৫২৮ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে এবং হেল্পলাইনে ফোন দিলে গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন অপশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সেবাটি বেছে নিতে পারবেন।

হেল্পলাইন ছাড়াও সিটি ব্যাংকের ইমেইল ও চ্যাট সাপোর্ট রয়েছে যেখানে গ্রাহকরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এবং যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য এই হেল্প লাইন সেবা খুবই কার্যকরী বা গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য এবং ব্যাংকিং সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত এবং সহজ সমাধানের জন্য গ্রাহকরা এই হেল্পলাইন এ কল করতে পারে যা ব্যাংকে তাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ায়।

লেখক এর মন্তব্য

সিটি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম, এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে সিটি ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সিটি ব্যাংকের একাউন্ট এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে না থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু সিটি ব্যাংকের একাউন্ট সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং আশা করি আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন বিস্তারিত।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরো পড়তে যান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 37147

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url