দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয় এবং খরচ কত

 দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয় এবং খরচ কত

দাঁত মানুষের জীবনের এক পরম সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নেয়ামত। মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। হলে অনেকেরই অকালে দাঁত ঝরে পড়ে। এই প্রবন্ধে আমরা রুম ক্যানেল করার নিয়ম রুট ক্যানেল করতে খরচ কত রুট ক্যানেল করতে খরচ কত এবং বিকল্প কি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করব।

আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন। তাহলে দাঁতের রুট ক্যানেল করার নিয়ম এবং খরচ কত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক আমাদের সাথেই থাকবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয় এবং খরচ কত
 দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয় এবং খরচ কত
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট কী
রুট ক্যানেল কেন প্রয়োজন
রুট ক্যানেল কিভাবে সম্পন্ন হয়
দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কত খরচ হয়
রুট ক্যানেল চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি 
রুট ক্যানেলের জন্য যেসব নিয়ম মেনে উচিত
লেখকের শেষ কথা

  দাঁতের যত্নে আধুনিক সমাধান – রুট ক্যানেল  চিকিৎসা

আপনার দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চান? রুট ক্যানেল হতে পারে নিরাপদ ও কার্যকর সমাধান। এখানে জানুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি কীভাবে করা হয়, কত খরচ হতে পারে, এবং কাদের জন্য এটি প্রয়োজন।

 রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট কী

রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট (Root Canal Treatment) হলো দাঁতের ভিতরের সংক্রমিত বা মৃত মজ্জা (pulp) অপসারণের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা ও সংক্রমণ দূর করে দাঁতকে সংরক্ষণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ

১.১ রুট ক্যানেল কেন প্রয়োজন হয়ঃ  গভীর ক্যাভিটি বা দাঁতের গর্ত, দাঁতের ভাঙ্গন বা ফাটল, দাঁতের ভিতরের সংক্রমণ, পূর্ববর্তী ফিলিং ব্যর্থ হওয়া ।

রুট ক্যানেল কেন প্রয়োজন

রুট ক্যানেল চিকিৎসা (Root Canal Treatment) সাধারণত তখনই প্রয়োজন হয় যখন দাঁতের ভিতরের অংশ, অর্থাৎ পাল্প (pulp), সংক্রমিত (infected) বা প্রদাহগ্রস্ত (inflamed) হয়ে যায়। নিচে রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

১. গভীর ক্যাভিটি বা দাঁতের পচন (Deep Cavity or Tooth Decay)ঃ যখন দাঁতের পচন অনেক গভীর হয়ে পাল্প পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তখন ব্যথা, সংক্রমণ এবং দাঁত নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ক্ষেত্রে রুট ক্যানেল করে সংক্রমণ দূর করে দাঁতটি রক্ষা করা হয়।

২. দাঁতের ভাঙা বা ফাটল ধরা (Cracked or Broken Tooth)ঃ দাঁত ভেঙে গেলে বা তাতে ফাটল ধরলে জীবাণু ভিতরে প্রবেশ করে পাল্পে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এতে ব্যথা এবং ফোলা সৃষ্টি হয়। রুট ক্যানেলের মাধ্যমে ভেতরের সংক্রমণ পরিষ্কার করা হয়।

৩. পূর্বের দাঁতের ট্রিটমেন্টে জটিলতা (Complications from Previous Dental Proceduresঃ  কোনো দাঁতের চিকিৎসা যেমন ফিলিং বা ক্রাউন দেওয়ার পর যদি সংক্রমণ হয় বা ব্যথা অনুভব হয়, তবে সেটিও রুট ক্যানেলের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করতে পারে।

৪. দাঁতের আঘাত (Dental Trauma)ঃ হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় দাঁতের গভীরে আঘাত লাগলে, এমনকি বাইরের অংশ অক্ষত থাকলেও, ভিতরের পাল্প ড্যামেজ হতে পারে। তখন রুট ক্যানেল প্রয়োজন হয়।

৫. অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা বা ব্যথা (Severe Toothache or Sensitivity)ঃ ঠান্ডা বা গরম খাবারে দাঁতে তীব্র ব্যথা বা সংবেদনশীলতা থাকলে এবং তা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে সেটা পাল্পের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে এবং রুট ক্যানেল করতে হতে পারে।

রুট ক্যানেল কিভাবে সম্পন্ন হয়

দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসা (Root Canal Treatment বা RCT) হচ্ছে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দাঁতের অভ্যন্তরে আক্রান্ত বা মৃত স্নায়ু (nerve/pulp) সরিয়ে ফেলা হয় এবং দাঁতকে সংরক্ষণ করা হয়। এটি সাধারণত তখন করা হয় যখন দাঁতের স্নায়ু ইনফেকশনে আক্রান্ত হয় বা পচে যায়। নিচে ধাপে ধাপে রুট ক্যানেল চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলোঃ 

ধাপ ১: এক্স-রে এবং পরীক্ষাঃ  প্রথমে দাঁতের অবস্থা নির্ণয়ের জন্য এক্স-রে করা হয়। এর মাধ্যমে দেখা হয় দাঁতের শিকড়ে কোনো ইনফেকশন আছে কি না এবং সংক্রমণের পরিমাণ কতটুকু।

ধাপ ২: অ্যানাস্থেসিয়া বা স্থানীয় চেতনানাশক প্রয়োগঃ  চিকিৎসা শুরু করার আগে দাঁতের আশেপাশের জায়গা নিস্তেজ করতে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া হয়, যাতে ব্যথা অনুভব না হয়।

ধাপ ৩: দাঁতে ছিদ্র করাঃ দাঁতের ওপরে একটি ছোট ছিদ্র করা হয়, যার মাধ্যমে অভ্যন্তরের ইনফেকটেড পাল্প বা স্নায়ু বের করে আনা হয়।

ধাপ ৪: পাল্প অপসারণ ও শিকড় পরিষ্কারঃ  একটি সূক্ষ্ম যন্ত্র ব্যবহার করে দাঁতের ভিতরের পাল্প টিস্যু ও ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করা হয়। শিকড় (root canals) ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা হয়।

ধাপ ৫: শিকড় পূরণ (Filling)ঃ পরিষ্কার করার পর দাঁতের শিকড় গাটাপারকা (gutta-percha) নামক একধরনের বিশেষ পদার্থ দিয়ে ভরাট করা হয় যাতে ভবিষ্যতে কোনো সংক্রমণ না হয়।

ধাপ ৬: দাঁতের মুখ বন্ধ করা ও পুনর্গঠনঃ  পরবর্তী ধাপে দাঁতের উপরের ছিদ্রটি বন্ধ করে একটি ফিলিং বা কেপ (crown) বসানো হয়, যা দাঁতকে পুনরায় শক্তিশালী করে তোলে।

৩. রুট ক্যানেল চিকিৎসার সুবিধাঃ  ব্যথা থেকে স্থায়ী মুক্তি, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, দাঁত তোলা ছাড়াই সমস্যা সমাধান, চিবানোর সক্ষমতা রক্ষা করে,  মুখগহ্বরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন থাকে। 

৪. রুট ক্যানেল চিকিৎসার পর কী করতে হবেঃ 

৪.১ চিকিৎসার পর যত্নঃ কষ্ট হলেও চিকিৎসক নির্দেশিত সময় পর্যন্ত দাঁতে চাপ না দেওয়া, দাঁত ব্রাশ ও মাউথওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করা, ফলোআপে গিয়ে দাঁতের অবস্থা চেক করা।

৪.২ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ  চিকিৎসার পরে সামান্য ব্যথা বা অস্বস্তিঃ অল্প ফোলা বা দাঁতে সংবেদনশীলতা। এই সব সমস্যা সাধারণত কয়েকদিনে সেরে যায়।

দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কত খরচ হয়

দাঁতের রুট ক্যানেল (Root Canal Treatment) করার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমনঃ ১।  দাঁতের ধরণ (সামনের দাঁত, পেছনের দাঁত) ২। ক্লিনিকের মান ও অবস্থান ৩।  চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা ৪। এক্স-রে, মেডিসিন ও অন্যান্য খরচ।

আরো পড়ুনঃ

বাংলাদেশে রুট ক্যানেল করার গড় খরচ:  সামনের দাঁত (Front tooth): ৩,০০০ – ৬,০০০ টাকা

পেছনের দাঁত (Molar tooth): ৫,০০০ – ১২,০০০ টাকা, ক্রাউন (Cap) বসানোর খরচ: ৩,০০০ – ১৫,০০০ টাকা (ধরনের ওপর নির্ভর করে – মেটাল, পোরসেলিন, জিরকোনিয়া ইত্যাদি)

অতিরিক্ত খরচ:  এক্স-রে: ৩০০ – ৫০০ টাকা, মেডিসিন: ২০০ – ৫০০ টাকা, ফলোআপ চেকআপ: সাধারণত ১–২ বার লাগে।

ঢাকা শহরে দাঁতের রুট ক্যানেল করার নির্দিষ্ট খরচ সাধারণত ক্লিনিক এবং চিকিৎসকের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। নিচে কিছু গড় মূল্য দেওয়া হলো, যা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে জানা: ঢাকায় রুট ক্যানেল খরচ (২০২৫ সালের অনুযায়ী): 

১. সাধারণ প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে: সামনের দাঁতের রুট ক্যানেল: ৩,৫০০ – ৫,০০০ টাকা

পেছনের দাঁতের রুট ক্যানেল: ৬,০০০ – ৮,০০০ টাকা, ক্রাউন বসানো (মেটাল ফিউসড): ৩,০০০ – ৬,০০০ টাকা,  জিরকোনিয়া বা পোরসেলিন ক্রাউন: ৮,০০০ – ১৫,০০০ টাকা,  

২. প্রিমিয়াম ডেন্টাল ক্লিনিক (যেমন: Apollo Dental, Evercare, SMC Dental, ইত্যাদি): সামনের দাঁত: ৬,০০০ – ৮,০০০ টাকা, পেছনের দাঁত: ৮,০০০ – ১২,০০০ টাকা, ক্রাউন (জিরকোনিয়া বা প্রিমিয়াম): ১২,০০০ – ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

৩. ঢাকা ডেন্টাল কলেজ বা সরকারি হাসপাতালগুলোতে: খরচ অনেক কম, সাধারণত ১,০০০ – ২,৫০০ টাকা (ক্লিনিক চার্জ ও ওষুধ সহ)।  এই খরচে এক্স-রে, ওষুধ ও ফলোআপ চার্জ আলাদা হতে পারে।

রুট ক্যানেল চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি  

দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসা (Root Canal Treatment - RCT) সাধারণত তখনই করা হয়, যখন দাঁতের অভ্যন্তরে থাকা পাল্প বা স্নায়ু সংক্রমিত বা মৃত হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে রুট ক্যানেলের বিকল্প পদ্ধতিও ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি সমস্যা খুব জটিল না হয়। নিচে রুট ক্যানেল চিকিৎসার কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতি তুলে ধরা হলোঃ 

১. ডাইরেক্ট পাল্প ক্যাপিং (Direct Pulp Capping)ঃ যখন দাঁতের পাল্পে সংক্রমণ খুব সূচনালগ্নে থাকে বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে হালকা এক্সপোজার হয়, তখন দাঁতের পাল্পের ওপরে বিশেষ মেডিকেশন দিয়ে তা সংরক্ষণ করা যায়। এটি ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।

২. ইন্ডাইরেক্ট পাল্প ক্যাপিং (Indirect Pulp Capping)ঃ  এই পদ্ধতিতে দাঁতের গভীরে থাকা ক্ষয় থেকে পাল্পকে আংশিকভাবে দূরে রেখে কিছুটা দন্তক্ষয় রেখে বিশেষ ফিলিং দিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। সময়ের সঙ্গে পাল্প সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

৩. এক্সট্রাকশন বা দাঁত উপড়ে ফেলা (Tooth Extraction)ঃ  যদি দাঁতের ক্ষয় খুব বেশি হয়ে যায় এবং রুট ক্যানেল চিকিৎসাও উপযোগী না হয়, তখন দাঁত তুলে ফেলাই হতে পারে একমাত্র বিকল্প। পরে ঐ জায়গায় ডেন্টাল ইমপ্লান্ট, ব্রিজ বা ডেনচার বসানো যেতে পারে। 

৪. ওজনিওথেরাপি বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা (Ozonotherapy / Homeopathy)ঃ  কিছু ক্ষেত্রে হালকা সংক্রমণের জন্য ওজনিওথেরাপি বা হোমিও চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। এটি দাঁতের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সহায়ক হতে পারে, তবে এটি আধুনিক ডেন্টাল চিকিৎসার পূর্ণ বিকল্প নয়।

৫. অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ব্যবস্থাপনা ঃ শুরুর পর্যায়ে দাঁতের সংক্রমণ থাকলে ডেন্টিস্ট অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়, কেবল রুট ক্যানেলের প্রস্তুতিপর্বে অস্থায়ীভাবে ব্যথা ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

রুট ক্যানেলের জন্য যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত

রুট ক্যানেল চিকিৎসার (Root Canal Treatment) পর এবং আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা উচিত, যাতে সংক্রমণ এড়ানো যায় এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। নিচে রুট ক্যানেল করার আগে এবং পরে যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:১।  ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুসরণ করুন: চিকিৎসার আগে আপনার দাঁতের এক্স-রে করে সঠিক পরিস্থিতি বুঝে নিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করুন।

২।  ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ করুন: যদি ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়, তা সময়মতো এবং নির্ধারিত মাত্রায় গ্রহণ করুন। 

৩। চিকিৎসার আগের রাতের ঘুম পূর্ণ করুন: ভালো ঘুম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৪। খাবার খেয়ে যান: অনেক সময় চিকিৎসার আগে কিছু সময় না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে, তা অনুসরণ করুন। অন্যথায় হালকা কিছু খেয়ে যেতে পারেন, কারণ চিকিৎসার পর এক্ষেত্রে দেরিতে খাওয়া যেতে পারে।

রুট ক্যানেল করার পরে যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত: ১।  অস্থায়ীভাবে চিকিৎসা করা দাঁত দিয়ে চিবানো থেকে বিরত থাকুন: চিকিৎসার পরে দাঁতটি দুর্বল থাকে, তাই এটি দিয়ে শক্ত কিছু চিবানো একেবারে বারণ।

২।  ব্যথা বা ফোলা হলে ওষুধ নিন: ডাক্তারের দেওয়া ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নির্দিষ্ট নিয়মে চালিয়ে যান।

৩।  মুখ পরিষ্কার রাখুন: দিনে অন্তত ২ বার ব্রাশ করুন, তবে সাবধানে রুট ক্যানেল করা দাঁতের চারপাশ পরিষ্কার করুন। মাউথওয়াশ ব্যবহার করাও উপকারী।

৪। ঠান্ডা বা গরম খাবার এড়িয়ে চলুন: দাঁতের সংবেদনশীলতা থাকলে এই ধরনের খাবার ব্যথা বাড়াতে পারে। 

৫। পুনরায় চিকিৎসার জন্য ডেন্টিস্টের কাছে যান: রুট ক্যানেল সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ফলোআপে যান এবং পার্মানেন্ট ফিলিং বা ক্রাউন বসানো সম্পন্ন করুন।

৬।  ধূমপান ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে দূরে থাকুন: এটি শুধু দাঁতের জন্য নয়, সার্বিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর।

 রুট ক্যানেল বনাম দাঁত তোলা – কোনটা ভালোঃ  প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)ঃ

  প্রশ্ন ১: রুট ক্যানেল ব্যথাদায়ক কি?

উত্তর: আধুনিক প্রযুক্তিতে রুট ক্যানেল অনেকটাই ব্যথাহীন।

প্রশ্ন ২: রুট ক্যানেল কত দিন স্থায়ী হয়?

উত্তর: সঠিক যত্ন নিলে আজীবন স্থায়ী হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: রুট ক্যানেল করার পর দাঁত কি দুর্বল হয়ে পড়ে?

উত্তর: না, যদি পরবর্তীতে সঠিকভাবে ফিলিং ও ক্রাউন বসানো হয়।

আরো পড়ুনঃ

 রুট ক্যানেল বনাম দাঁত তোলা – কোনটা ভালোঃ  প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)ঃ

  প্রশ্ন ১: রুট ক্যানেল ব্যথাদায়ক কি?

উত্তর: আধুনিক প্রযুক্তিতে রুট ক্যানেল অনেকটাই ব্যথাহীন।

প্রশ্ন ২: রুট ক্যানেল কত দিন স্থায়ী হয়?

উত্তর: সঠিক যত্ন নিলে আজীবন স্থায়ী হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: রুট ক্যানেল করার পর দাঁত কি দুর্বল হয়ে পড়ে?

উত্তর: না, যদি পরবর্তীতে সঠিকভাবে ফিলিং ও ক্রাউন বসানো হয়।

লেখকের শেষ কথা

রুট ক্যানেল চিকিৎসা দাঁত সংরক্ষণের একটি আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি। ব্যথা, সংক্রমণ বা দাঁতের মারাত্মক ক্ষতির ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা আপনাকে স্থায়ী সমাধান দিতে পারে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিলে ব্যথামুক্ত হাসি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

এতক্ষন আমরা তাতে রুট কেন কিভাবে করা হয় এর খরচ কত এবং বিকল্প ব্যবস্থায় বাকি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলে। আপনি আমাদের সাথে সময় দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাদের এই আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর কনটেন্ট লিখে এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। আপনি নিয়মিত ভিজিট করলেন অনেক বিষয় জানতে পারবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url