ক্যান্সার কি, ক্যান্সারের কারণ এবং বাঁচার উপায় কি

 ক্যান্সার রোগ কি, ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় 

ক্যান্সার বর্তমান বিশ্বে ভয়াবহ একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। আজ এই ক্যান্সারের বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব। ক্যান্সার রোগটি কি, ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় কি। আপনি হয়তো এ বিষয়ে কিছু জ্ঞান আছে কিন্তু বিস্তারিত জানার জন্য এই কনটেন্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন।

এখানে আমরা ক্যান্সারের এ টু জেড বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি এই আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে সতর্ক থাকতে পারবেন।  ক্যান্সার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তাই দেরি না করে চলুন আমরা আলোচনা শুরু করি।

পেন সূচিপত্রঃ  ক্যান্সার  কি, ক্যান্সারের কারণ এবং বাঁচার উপায় কি 
 ক্যান্সার  কি, ক্যান্সারের কারণ এবং বাঁচার উপায় কি
ক্যান্সার কী ও কত প্রকার
ক্যান্সার হওয়ার কারণ কি
ক্যান্সারের লক্ষণগুলি কি কি
ক্যান্সার  কিভাবে নির্ণয় করা যায়
ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধে করা যায়
ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি
ক্যান্সার বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা
আমাদের শেষ কথা

ক্যান্সার  কি, ক্যান্সারের কারণ এবং বাঁচার উপায় কি

ক্যান্সার বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ দূরারোগ্য ও মরণব্যাধি রোগগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন। ক্যান্সার নিয়ে মানুষের মাঝে রয়েছে ভয়, বিভ্রান্তি ও অজ্ঞতা। অথচ সঠিক সচেতনতা ও নিয়ম মেনে জীবনযাপন করলে এই রোগ থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ক্যান্সার কী ও কত প্রকার

ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যেখানে শরীরের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায় ও বিভাজিত হয়। সাধারণত কোষগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং তারপর ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু ক্যান্সার কোষ এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে না; বরং তারা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে পড়াকে মেটাস্টেসিস (Metastasis) বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ 

ক্যান্সারের শতাধিক প্রকার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ ধরন হলোঃ 

ব্রেস্ট ক্যান্সার (স্তন ক্যান্সার),  প্রস্টেট ক্যান্সার,  লাং ক্যান্সার (ফুসফুস ক্যান্সার), কোলন ক্যান্সার (বৃহদান্ত্র ক্যান্সার),  লিউকেমিয়া (রক্ত ক্যান্সার), স্কিন ক্যান্সার (চর্ম ক্যান্সার)।  প্রতিটি ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে।

ক্যান্সার হওয়ার কারণ কি

ক্যান্সার হওয়ার পিছনে নানা ধরনের কারণ রয়েছে। নিচে ক্যান্সারের প্রধান কারণগুলো তুলে ধরা হলোঃ 

১. জেনেটিক বা বংশগত কারণঃ  যদি পরিবারের পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে উত্তরসূরীদের মধ্যেও এই ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

২. ধূমপান ও তামাক সেবনঃ  এই অভ্যাসটি ফুসফুস, গলা, মুখ ও অন্যান্য ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তামাকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান কোষে ক্ষতি করে।

৩. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ  অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, প্রক্রিয়াজাত ও রঙ-মেশানো খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। কম শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাসও একটি কারণ।

৪. অ্যালকোহলঃ  নিয়মিত বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়।

৫. রেডিয়েশন ও কেমিক্যাল এক্সপোজারঃ অনিয়ন্ত্রিত রেডিয়েশন যেমন এক্স-রে, ইউভি রশ্মি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে।

৬. ভাইরাস ও ইনফেকশনঃ   HPV (Human Papilloma Virus), হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও ক্যান্সার হতে পারে।

ক্যান্সারের  লক্ষণগুলি কি কি

নিশ্চয়ই! এখানে ক্যান্সারের ১০টি সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো, যেগুলি দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি:

১। ওজন কমে যাওয়াঃ কোনো কারণ ছাড়াই ওজন দ্রুত কমে গেলে তা ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে, বিশেষ করে পাকস্থলী, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় বা খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হলে।

২।  ক্লান্তিবোধ ঃ বিশ্রাম নেয়ার পরও যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হয়, তাহলে তা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

৩।  চামড়ায় পরিবর্তনঃ কোনো তিলের রঙ, আকার বা গঠন বদলে গেলে, অথবা ত্বকে নতুন ঘা, ফোস্কা, গুটি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।

৪। ক্ষত শর্তে দেরি হওয়াঃ শরীরের কোনো অংশে ঘা হলে এবং তা সহজে ভালো না হলে, তা ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।

৫। অস্বাভাবিকরক্তক্ষরণঃ প্রস্রাবে, মলত্যাগে, কফে বা নারীদের অনিয়মিত যোনি রক্তপাত ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৬।  গলার স্বরে পরিবর্তনঃ  দীর্ঘদিন ধরে গলা বসে যাওয়া বা কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন বিশেষ করে গলা বা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৭ ফোলা অংশ অনুভব করাঃ ত্বকের নিচে অস্বাভাবিক কোনো গিঁট বা ফোলা দেখা গেলে তা ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।

8. নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথাঃ পিঠ, মাথা বা শরীরের অন্য কোনো অংশে অনবরত ব্যথা ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

৯।  নিরবিচারে কাশি বা শ্বাসকষ্টঃ দীর্ঘ সময় ধরে কাশি বা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বিশেষ করে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে, তা ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

১০। খাদ্যগ্রহণে সমস্যা ঃ খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা, গিলতে সমস্যা বা হজমে সমস্যা গলার বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

ক্যান্সার  কিভাবে নির্ণয় করা যায়

ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সংক্ষেপে বলছিঃ 

১। শারীরিক পরীক্ষাঃ ডাক্তার শরীরে অস্বাভাবিক ফোলাভাব, চাকা, রঙ পরিবর্তন বা অন্য কোনো লক্ষণ খুঁজে দেখেন।

২।  ল্যাব টেস্ট ঃ রক্ত, মূত্র বা অন্যান্য শরীরের তরল পরীক্ষা করে কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সারের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। যেমন:Complete Blood Count (CBC), উমার মার্কার টেস্ট (Tumor Marker Tests)।

৩। ইমেজিং টেস্ট ঃ শরীরের ভেতরের ছবি তুলে ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়। যেমন: এক্স-রে (X-ray), সিটি স্ক্যান (CT scan),  এমআরআই (MRI), আলট্রাসোনোগ্রাফি (Ultrasound), পিইটি স্ক্যান (PET scan)।

৪। বায়োপসি (Biopsy)ঃ এটি ক্যান্সার নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। আক্রান্ত টিস্যুর সামান্য অংশ সংগ্রহ করে মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করা হয়। বায়োপসির ধরন হতে পারে: ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন (FNA), কোর নিডল বায়োপসি, সার্জিক্যাল বায়োপসি।

৫।  জেনেটিক টেস্টিংঃ  কিছু ক্যান্সার নির্দিষ্ট জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে হয়। বিশেষ পরীক্ষা করে সেই পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করা যায়।

আরো পড়ুনঃ 

6. এন্ডোস্কপিঃ সরু টিউবের মাধ্যমে ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন খাদ্যনালী, পাকস্থলী বা কোলন পরীক্ষা করা হয়।

ক্যান্সার কিভাবে প্রতিরোধে করা যায়

ক্যান্সার প্রতিরোধ করা একেবারে অসম্ভব নয়। সঠিক জীবনযাপন ও নিয়ম মেনে চললে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ পর্যাপ্ত ফল ও সবজি খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত ও কৃত্রিম খাবার এড়িয়ে চলা, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ।

২. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমঃ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৩. ধূমপান ও তামাক বর্জনঃ  ধূমপান পুরোপুরি ত্যাগ করাই সবচেয়ে ভালো ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়।

৪. অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকাঃ  অ্যালকোহল কমিয়ে আনলে লিভার ও মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

৫. সূর্যের অতিরিক্ত রশ্মি এড়ানোঃ  রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার, সানস্ক্রিন লাগানো বা সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত।

৬. টিকা গ্রহণঃ  HPV এবং হেপাটাইটিস বি-এর টিকা গ্রহণ করলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ  বছরে অন্তত একবার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত, বিশেষ করে যাদের পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে। মহিলাদের জন্য নিয়মিত মেমোগ্রাম, প্যাপ স্মিয়ার, পুরুষদের জন্য প্রস্টেট পরীক্ষা,  বয়স অনুযায়ী কোলনোস্কোপি।  প্রথমদিকে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়।

ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি

ক্যান্সার হলে নির্ভর করে রোগের ধরণ ও স্টেজ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।

১. সার্জারিঃ ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলা হয়।

২. কেমোথেরাপিঃ ঔষধের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।

৩. রেডিওথেরাপিঃ  রেডিয়েশনের সাহায্যে কোষ ধ্বংস করা হয়।

৪. ইমিউনোথেরাপিঃ  দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে।

৫. হরমোন থেরাপিঃ  বিশেষ কিছু হরমোন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ক্যান্সার রোগীদের মানসিক সহায়তা

ক্যান্সার রোগীদের শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সহায়তাও অত্যন্ত জরুরি। পরিবার ও বন্ধুদের সহানুভূতি, মনোবল বৃদ্ধি এবং পজিটিভ মানসিকতা রোগীকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা

১. ক্যান্সার ছোঁয়াচে নয়ঃ অনেকে মনে করেন ক্যান্সার ছোঁয়াচে রোগ। এটি ভুল ধারণা।

২. ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়ঃ  বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসার ফলে বহু মানুষ ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেন।

ক্যান্সারের চিকিৎসা বিষয়ে  রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এর বাণী

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসে সরাসরি "ক্যান্সার" (Cancer) নামক রোগের কোনো উল্লেখ নেই, কারণ সে সময় "ক্যান্সার" নামে এই রোগের আধুনিক সংজ্ঞা ছিল না। তবে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক ধরনের রোগ এবং তার চিকিৎসা সম্পর্কে সাধারণ নীতিমালা ও দোয়া শিখিয়েছেন, যা ক্যান্সারসহ সকল রোগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিচে উল্লেখ করছি:১. প্রতিটি রোগের জন্য চিকিৎসা আছেঃ হাদিস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "আল্লাহ যখন কোনো রোগ অবতীর্ণ করেন, তখন তার চিকিৎসাও অবতীর্ণ করেন।"(সহীহ বুখারী, হাদিস নং: ৫৬৭৮)

আরো পড়ুনঃ 

অর্থ: প্রতিটি রোগেরই কোনো না কোনো চিকিৎসা আছে। ক্যান্সারও এর ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।

২. কালোজিরা (Black Seed) দ্বারা রোগ নিরাময়: হাদিস:রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

> "তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, কারণ এতে প্রতিটি রোগের উপশম রয়েছে, মৃত্যুর ব্যতীত।" (সহীহ বুখারী, হাদিস নং: ৫৬৮৮) 

ব্যাখ্যা: কালোজিরা বা "হাব্বাতুস সাওদা" অনেক রোগের জন্য উপকারী। আজকের আধুনিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, কালোজিরার মধ্যে এমন উপাদান আছে যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে, যা ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।

৩. রুকইয়া (ধর্মীয় দোয়া ও ঝাড়ফুঁক) দিয়ে চিকিৎসা:হাদিস:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগীদের জন্য কুরআনের আয়াত পাঠ করে ফুঁ দিতেন।> "রোগীদের উপর সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করো।" (সহীহ বুখারী, হাদিস নং: ৫৭৩৬)

অর্থ: ক্যান্সারসহ যেকোনো রোগে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. চিকিৎসা গ্রহণের নির্দেশ: হাদিস:রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

> "হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো, কেননা আল্লাহ তায়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোনো চিকিৎসা নেই, তবে একটি ব্যতিক্রম — তা হলো বার্ধক্য।"(সহীহ আবু দাউদ, হাদিস নং: ৩৮৫৫)

সারাংশঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিকিৎসার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। সরাসরি ক্যান্সারের নাম উল্লেখ না থাকলেও, রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা নেওয়া, দোয়া করা, কালোজিরা ব্যবহার করা এবং কুরআনের আয়াত দ্বারা রুকইয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহযোগিতাও গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

আমাদের শেষ কথা

ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ হলেও এটি নিরাময়যোগ্য, যদি প্রাথমিক অবস্থাতেই শনাক্ত করা যায়। সচেতনতা, নিয়মিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আমরা এই রোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারি। নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া, নিয়ম মেনে চলা এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করাই ক্যান্সার প্রতিরোধের মূলমন্ত্র।

আমি এতক্ষন ক্যান্সার দের সংজ্ঞা কারণ ও বাঁচার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সত্যটা অধ্যয়ন করে ক্যান্সার বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে কনটেন্টটি পুনরায় অধ্যয়ন করুন। আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। আমরা এই ওয়েবসাইটে নতুন নতুন কনটেন্ট লিখি এবং প্রকাশ করি আমাদের সাথে থাকুন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। স্লোগানঃ “সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন – ক্যান্সারকে হার মানান।”



















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url